বাঁশখালীতে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক আটক
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ফয়জুল্লাহকে আটক করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোর ৪টা ১০ মিনিটে বাঁশখালীর মনকির চর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে র্যাব জানায়।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. মাশকুর রহমান মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাব-৭ এর মেজর মেহেদী হাসান পাঠক ডট নিউজকে জানায়, গত ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখ বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের ৭ম শ্রেনীর মাদ্রাসার ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে মাদ্রাসার শিক্ষক আসামী মোঃ ফয়জুল্লাহ মাদ্রাসা কক্ষের দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী বাসায় ফিরতে দেরী দেখে তার মা ও চাচী মাদ্রাসায় যায় এবং মাদ্রাসায় যাওয়ার পর মেয়েটি তার মা ও চাচা-চাচীকে দেখে কান্না কাটি করতে থাকে। কান্না কাটির কারন জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় প্রতিদিনের মত প্রাইভেট পড়া শেষে তার সাথের বান্ধবীদের বের করে দিয়ে শিক্ষক মোঃ ফয়জুল্লাহ তাকে মাদ্রাসা কক্ষের দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক তার মা ও চাচা-চাচী ঘটনাটি মাদ্রাসার পরিচালক (বড় হুজুর) মাহমুদুল্লাকে জানায়। তিনি ঘটনাটি শুনে তা সমাধান করবে বলে আশ্বস্ত করেন। এর পর গত ২৫ এপ্রিল ও ২৭ এপ্রিল স্থানীয় মেম্বার বৈঠক করে যে সিদ্ধান্ত নেয় বিবাদী মোঃ ফয়জুল্লাহ সে সিদ্ধান্ত না মেনে পালিয়ে যায়।
পরে এনিয়ে আদালতে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে পুলিশ মেডিকেল রিপোর্টের জন্য ধর্ষিতাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মেডিকেল রিপোটের ভিক্তিতে গত ১ মে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষক মোঃ ফয়জুল্লাহ’র বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা রুজু দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব গোপন সংবাদের ভিক্তিতে আজ মঙ্গলবার ভোরে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাঁশখালীর ৯নং শিলকুপ ইউনিয়নের মনকির চর মহল্লা পাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মোঃ ফয়জুল্লাহ (২০)কে আটক করে।
কোন মেম্বার এই ঘটনা সমাধান করছে,বা মেয়েটার ডিটেইলস কি?