মাকে ওড়না পেঁচিয়ে, শিশু সন্তানকে পুকুরে ফেলে হত্যা
নাটোরের নলডাঙ্গায় মা শারমিন বেগম ও দুই বছরের শিশু সন্তান আবদুল্লাকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতের কোন একসময় তাদের খুন করা হয়।
বুধবার সকালে উপজেলার বাশিলা উত্তরপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শারমিনের মৃতদেহ এবং শিশু আবদুল্লার মৃতদেহটি বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত শারমিন বেগম ও আবদুল্লা একই গ্রামে মাহামুদুল হাসান মুন্নার স্ত্রী ও সন্তান।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ও এলাকাবাসী জানান, মাহামুদুল হাসান মুন্না কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকায় অবস্থান করছে। ফলে তার স্ত্রী শিশু সন্তানকে নিয়ে তার বাড়িতে বসবাস করছিল। মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে শারমিন বেগম তার শিশু সন্তান আব্দুল্লাকে নিয়ে তাদের শোবার ঘরে চলে যায়। পরে সেহেরি করার সময় পরিবারের লোকজন তাকে ডাকতে গেলে তার ঘরের ভিতরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে।
এ সময় পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং শিশু আবদুল্লার খোঁজ করে। পরে ভোর ৬টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশু আব্দুল্লার মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোন একসময় মা ও শিশু সন্তানকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কি কারণে এই জোড়া খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আমরা কি দিন দিন সেই জাহেলিয়ামে দিকেই চলে যাচ্ছি….?