অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে”

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। একটি নির্বাহী আদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আন্দোলন স্তব্ধ করতে একটি ফরমায়েশি রায় এর মাধ্যমে তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন ৭৪ বয়সের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ১৬ মাস যাবৎ কারাবন্দি রেখে ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে।

তিনি আজ ১৬ মে বৃহস্পতিবার নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে কোতোয়ালী থানা বিএনপি আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা.শাহাদাত আরো বলেন, সরকার আলদালতকে ব্যবহার করে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনকে পদে পদে বাধাগ্রস্ত করছে। রাজনৈতিক প্রুতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আদালতকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তিনি অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ষোল কোটি মানুষের নেত্রী। আন্দোলন সংগ্রামে আপোষহীন এই নেত্রীকে এই দেশের জনগণ মুক্ত করে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থা সহ সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এই অবৈধ সরকার। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি ফরমায়েশি আদেশের মাধ্যমে কারান্তরিন করে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র তাদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে। তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। তার জন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব।

আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার করে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায়। শত অত্যাচার-নির্যাতনের মাঝেও বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে আজকোর ইফতার মাহফিল তাই প্রমাণ করে।

কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মনজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সহসভাপতি এম এ আজিজ, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, শাহেদ বক্স, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সম্পাদকবৃন্দ শিহাব উদ্দিন মুবিন, মনোয়ারা বেগম মনি, এইচ এম রাশেদ খান, মো. আলী মিঠু, মাঈন উদ্দিন মো. শহিদ, নুরুল আকতার, ডা. সরওয়ার আলম, হেলাল চৌধুরী, হাজী নুরুল হক, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, আবদুল বাতেন, সহসম্পাদক বৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, জেলী চৌধুরী, রনজিত বড়ুয়া, ডা. লুসি খান, আবু মুসা, শফিক আহমদ, এড. আবদুল আজিজ, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সম্পাদকবৃন্দ আফতাবুর রহমান শাহীন, আবদুল কাদের জসিম, নূর হোসেন, সদস্য ইউসুফ সিকদার, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, নবাব খান, আলী আব্বাস খান, আলা উদ্দিন আলী নূর, খন্দকার নুরুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদকবৃন্দ সাদেকুর রহমান রিপন, জসিম মিয়া, আবু ফয়েজ, সাব্বির আহমদ, সৈয়দ আবুল বশর, অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান জিয়া, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নাসিম চৌধুরী, মো. সেলিম, এরশাদ হোসেন, আশদুর রহমান টিপু, আলা উদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আনোয়ার হোসেন, মো. ইদ্রিস, সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।