অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অটোমোবাইল পার্টস, পাওয়ার প্ল্যান্টসহ সম্ভাব্য সেক্টরে থাইল্যান্ড বিনিয়োগ করতে আগ্রহী

2

থাইল্যান্ড বিনিয়োগ বোর্ড’র ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল চৌকীদি কাওয়াসাং বলেছেন ,দক্ষিণ এশিয়ার হৃদপিন্ডে বাংলাদেশের অবস্থান ।
বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ কাজে লাগিয়ে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইল পার্টস, পাওয়ার প্ল্যান্টসহ সম্ভাব্য সেক্টরে থাইল্যান্ড বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

তিনি থাই বিনিয়োগ বহুমূখীকরণের পাশাপাশি রপ্তানি পণ্য বহুমূখী করণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে তাদের সরকারের আগ্রহ ও সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে থাইল্যান্ডের ১৮ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় দু দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভায় থাই বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’র প্রেসিডেন্ট মিংপ্যান্ট ছায়া থাইল্যান্ডের বাজারে হর্টি কালচারসহ বাংলাদেশী অনেক পণ্যের সম্ভাবনার উলে¬খ করেন।

তিনি ৭ শতাংশ জিডিপি অর্জন ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার পরিচায়ক বলে মনে করেন।

এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এদেশের ব্যবাসায়ীদের থাইল্যান্ড সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং যৌথ বিনিয়োগে শিল্প স্থাপনের আহবান জানান মিংপ্যান্ট ছায়া।

এসময় থাইল্যান্ডের অনারারী কনসাল আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন-বাংলাদেশে প্রচুর রাবার উৎপন্ন হয় যা রপ্তানি করা হয়। তিনি থাইল্যান্ডের কারিগরি দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এদেশে শিল্প স্থাপন করে মোটর পার্টস উৎপাদন করে তা জাপানসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন।

এসময় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম গত বছর থাইল্যান্ড থেকে ৭৪১ মিলিয়ন ডলারের আমদানি বিপরীতে রপ্তানি মাত্র ৩৯.৬২ মিলিয়ন ডলার। তিনি বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে বাংলাদেশী রপ্তানি বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বন্দরসহ ভৌগোলিক সুবিধা এবং বিদেশী বিনিয়োগের জন্য সরকার প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগাতে চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনে আহবান জানান।

বাণিজ্য বৃদ্ধিতে চট্টগ্রাম ও র‌্যানং বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিং লাইন স্থাপন পূর্বক উভয়পক্ষ উপকৃত হবে বলে মনে করেন মাহবুবুল আলম।

এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, থাইল্যান্ডের পক্ষে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্টের ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল চৌকীদি কাওয়াসাং, থাই বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’র সভাপতি মিংপ্যান্ট ছায়া, অনারারী কনসাল আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম, ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফা, ইস্পাহানী গ্রুপ’র জিএম মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

২ মন্তব্য
  1. Rahik Zawad বলেছেন

    khubi bhalo hoi tahole…