অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পাকিস্তানী নাগরিকদের ভিসা দেয়া বন্ধ করেছে বাংলাদেশ

0
.

দু’দেশের কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকদের বাংলাদেশে আসার ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন।

ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (প্রেস) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন চার মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে (পেন্ডিং) রাখার প্রতিবাদে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একটি কূটনৈতিক সূত্র সোমবার রাতে ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছে।

ওই সূত্র জানায়, ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য কূটনীতিক ইকবাল চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন জানানোর পরও কোনো ইতিবাচাক সাড়া পাওয়া যায়নি।

ইসলামাবাদে নিযুক্ত এক কূটনীতিক বলেন, গত বছরের নভেম্বরে ভিসা কর্মকর্তার পদ শূন্য হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ইকবাল ওই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

‘প্রতিবাদ হিসেবে তিনি (ইকবাল) গত এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন’ জানিয়ে ওই কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে এটা বন্ধ রাখা হয়নি।

কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশি কূটনীতিক ইকবাল তার মেয়েকে নিয়ে ইসলাবাদে রয়েছেন, অপরদিকে তার স্ত্রী ও ছেলে ঢাকায় রয়েছেন।

ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন জানান ইকবাল। সেখান থেকে আবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

অপরদিকে ইকবারের স্ত্রী ও ছেলে ঢাকায় পাকিস্তান দূতবাসে ভিসার আবেদন জানালেও তাদের ভিসা এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি।

অপর এক কূটনৈতিক সূত্র বলেন, ‘যতদূর জানি ঢাকার পাকিস্তান হাই কমিশন ভিসা দেওয়ার কথা বলে তাদের (ইকবারের স্ত্রী ও ছেলে) ডেকেছিল। কিন্তু ভিসা নিতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে আবার পরবর্তী দিন যেতে বলা হতো। এমনটা তিনবার হয়েছে।’

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন অনুমোদন দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হলেও চলতি বছরের ৩০ মার্চ ইকাবালের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং গত ২৭ এপ্রিল তার মালামাল বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়টি নিয়ে বারংবার বৈঠক ও চিঠি চালাচালি হলেও সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও কূটনীতিক সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে কূটনৈতিক সূত্র জানায়, গত বছরের মার্চ থেকে বাংলাদেশের নতুন হাই কমিশনার হিসেবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাকলাইন সায়েদার নাম বারংবার প্রস্তাব করলেও বাংলাদেশ সেই প্রস্তাব বাতিলও করেননি আবার গ্রহণও করেননি।