অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সেতুমন্ত্রীর ‘অল আউট’ অভিযান

0
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অনেকগুলো দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। আবার ব্যাটারিতে চার্জ দিতে গিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুতের অপচয় করা হচ্ছে। সারাদেশে প্রতিনিয়ত যে হারে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বাড়ছে তা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর চোখে ‘ডেঞ্জারাস’ ছাড়া কিছু নয়। এজন্য মন্ত্রীর এবারের লক্ষ্য ‘অল আউট’। সারা দেশের সব বিআরটিএকে ‘অল-আউট’ অভিযানের নির্দেশ ইতোমধ্যে দিয়েছেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান সিআরপির একটি গবেষণায়ও দেখা গেছে, গত দেড় বছরে ইজি বাইকের মটরে ওড়না পেঁচিয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়ে অসংখ্য রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

দুর্ঘটনার জন্য দায়ি এ অটোরিকশা সড়ক মহাসড়ক থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চাচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ সূত্র বলছে, রাস্তায় আর কোনো ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নসিমন করিমন ‘অ্যালাউ’ করা হবে না। দেখা মাত্রই জব্দ এবং ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মন্ত্রী বাংলানিউজকে জানান, তিনি দেখেছেন লাখ লাখ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। এ কারণে এখন থেকে টানা অভিযান চলবে সব সড়ক মহাসড়কে। মন্ত্রী নিজে এসব অভিযান প্রত্যক্ষ করবেন।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) প্রথম যখন ঢাকা-মাওয়া সড়কে অভিযানে ছিলেন মন্ত্রী তখনই অনেকগুলো ব্যাটারি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। এরপর বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে সারাদেশে বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে আর কোনো সড়ক মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত বাহন চলবে না।

মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাটারি চালিত লাখ লাখ ইজিবাইক সারাদেশে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা এক বিপজ্জনক প্রবণতা। এবার যে উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন তা হলো অল আউট- অভিযান।

বাংলাদেশে গত কয়েকবছর ধরে ইজি বাইক নামের ব্যাটারিচালিত তিনচাকার যানগুলোর চলাচল শুরু করে। সরকারি কোনো নিবন্ধন ছাড়াই সড়ক মহাসড়কে এদের দাপটে দূরপাল্লার যানবাহন দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে অহরহ। আবার ইহিবাইকের মধ্যে ওড়না, শাড়ি বা চাদর পেঁচিয়ে আহত হবার মতো ঘটনাও ঘটছে অনেক। এ ধরনের আহত রোগীদের সাধারণত তিন থেকে ছয়মাস চিকিৎসা নিতে হয়। তারপরেও তাদের অনেককে সারাজীবন এই দুর্ঘটনার ক্ষত বয়ে বেড়াতে হবে-বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এ ধরনের ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটিসহ অন্যান্য অনুমোদনহীন যানবাহন বন্ধে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলেরও সিদ্ধান্ত রয়েছে।