অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সরকার ব্যাংক লুটপাটকারীদের দুধকলা দিয়ে পুষছেন-ডা. শাহাদাত

2
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার ব্যাংক লুটপাটকারীদের দুধকলা দিয়ে পুষছেন অন্যদিকে কৃষকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। যারা এদেশের মানুষের অন্ন যোগায়, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান শষ্য ফলায় সেই কৃষকদের পরিবারের অবস্থা নাজুক ও দুর্বিষহ। কৃষকেরা তাদের ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে, রাস্তায় ধান ফেলে, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রতিবাদের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি

আজ ২৫ মে শনিবার পাঁচলাইশস্থ সুইসপার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ইউএসটিসি’র ছাত্রদল আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, কৃষকদের চাওয়া খুবই সামন্য ও যৌক্তিক কিন্তু সরকার তাদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে। সরকার ব্যাংক লুটপাটকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপীদের ঋণ মওকুপ হয় অন্যদিকে কৃষকদের সামান্য কৃষি ঋণও মওকুপ হয় না। যার ফলে এদেশের সাধারণ জনগণও এই মিডনাইট সরকারের প্রতি দিন দিন আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম একটি জলাবদ্ধতার শহরে পরিণত হয়েছে। সামন্য বৃষ্টিতেই কোমর পরিমাণ পানিতে নগরী সয়লাব হয়ে যায়। সরকার উন্নয়নের ডেকুর তুললেও নগরীর জলাবদ্ধতায় বুঝা যায় উন্নয়ন না লুটপাট।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দেশের গণতন্ত্র আজ পেশীবাদের শিকলে বন্দি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন বলেই এই দেশের মানুষের অন্তরে আজীবন অমর হয়ে থাকবে।

ইউএসটিসি ছাত্রদলের সভাপতি ডা. এরফান খান নিবির’র সভাপতিত্বে, ডা. ইমরান ও ডা. জাওয়াদ এর সঞ্চালনায় ইউএসটিসি ছাত্রদল আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাত বার্ষিকী আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম সভাপিত অধ্যাপক ডা. তমিজউদ্দিন মানিক, ড্যাব নেতা ডা. মোঃ আব্বাস উদ্দিন আরো উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সরওয়ার আলম, ড্যাব নেতা ডা. রাসেল ফরিদ, ডা. শাহনেওয়াজ সিরাজ মামুন, ডা. নাজমুল হোসেন, ডা. লুসি খান, ডা. মীর কাসেম, ডা. তরিকুল ইসলাম, ডা.সাদ্দাম নগর যুবদল নেতা নাসিম চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ প্রমুখ।

২ মন্তব্য
  1. Faisal Ahmed বলেছেন

    জনাব শাহাদাত হোসেন আপনি হয়তো বর্তমান সরকারকে আপনাদের মত মনে করছেন।বিএনপির দুর্নীতি সম্পর্কে আপনার হয়তো জানা নাই।বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশ দুর্নীতিতে ৫বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেই কথা কি মনে পড়ে?? সরকার কৃষকদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছেন।

  2. JIbon raihan বলেছেন

    বিএনপি নেতারা আর কিছু পারুক না পারুক সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ টা করে যাবে।তারেক জিয়ার ব্যাক্তিগত সহকারী ফয়সাল মোর্শেদ খান ও লুত্ফর রহমান বাদল দুজনের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে। তারা এ-সংক্রান্ত দুদকের মামলার আসামিও।বিএনপির নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৬ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা জালিয়াতি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, নাইকো দুর্নীতির প্রমাণ মিলিছে।১৭ দেশে তারেক-মামুনের ২২ হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার করেছেন।আর আপনি এখন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন