অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে : নোমান

0
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম জিয়াকে আজ কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সফল আন্দোলন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারবোনা, বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে পারবোনা। আমাদের সবাইকে সকল মতবিরোধ ভূলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের ভূলক্রুটিগুলো দূর করে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে।

তিনি আজ বুধবার (২৯মে) সন্ধ্যান নগরীর কাজির দেউড়িস্থ সেনা কল্যাণ কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

.

নোমান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। সার্ক এর স্বপ্নদ্রষ্টা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যথাসময়ে সাহসের সাথে যদি স্বাধীনতা ঘোষণা না করতেন জাতি স্বাধীনতা আনা সম্ভব হত না। আজকে দেশে যেভাবে একদলীয় শাসন চলছে এবং এটা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে এবং সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আজ চার বছর পর্যন্ত চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা, গুম ও খুনের বিরুদ্ধে সবাইকে কাধেঁ কাধ মিলিয়ে এই সরকারে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। আগামী ঈদের পরে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে যে আন্দোলনের ডাক আসবে সবাইকে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

.

সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মেহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের উর্বর ভূমি। সিনিয়র নেতাদের সমন্বয় কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম থেকে বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলন শুরু করতে হবে। আজ লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী মামলা-হামলায় জর্জরিত। জামিনের জন্য প্রতিদিন আদালত পাড়ায় ভিড় করছে হাজার হাজার নেতাকর্মী। তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা আইনি লড়াইয়ে তাকে মুক্তি করতে পারবোনা। তার মক্ত হওয়া নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।  সরকার যদি মনে করে বিচার বিভাগকে ঠিক মতো কাজ করতে দিবে তাহলে কালই বেগম জিয়ার মুক্তি হবে।

তিনি আরো বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করে আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দেশের মানুষ বিএনপিকে এখনো ভূলে যায়নি। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করলে বিজয় আমাদের হবেই।

উত্তর জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের সদস্য সচিব এড. মো: আবু তাহের এবং উত্তর জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক জসিম উদ্দীন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম নাজিম উদ্দীন, বিশেষ অতিথি মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, ইছহাক কাদের চৌধুুরী, ইফতেখার মহসিন, নুরুল আমিন, আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, আজম খান, জসিম উদ্দীন সিকদার, আলহাজ্ব সেকান্দর চৌধুরী, আবদুল আউয়াল চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, মোস্তাফা কামাল পাশা, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, হাসান মোহাম্মদ জসিম, কাজী সালাউদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দীন, অধ্যাপক কুতুব উদ্দীন বাহার, সোলাইমান মঞ্জু, তফাজ্জল হোসেন, মো: জাকের, জহুরুল আলম জহুর, সালাউদ্দীন চেয়ারম্যান, মো: শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, রিপন তালুকদার, অধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম লতিফি, আব্দুর শুক্কুর মেম্বার, জামশেদুর রহমান, শফিউল আলম চৌধুরী, মুরাদুল আলম চৌধুরী, আবদুল ওহাব কবির চেয়ারম্যান, জয়নাল আবেদীন, নবাব মিয়া চেয়ারম্যান, এইচ. এম নুরুল হুদা, মুসলেহ উদ্দীন, ফোরকান উদ্দীন রিজবী, ফজল বারেক, সৈয়দ ইকবাল, এড. ফরিদা আক্তার, নার্গিস আক্তার, নাজমুন নাহার নেলী, এস. এম ফারুক, গিয়াস উদ্দীন, জাহেদুল আবছার জুয়েল, আজিজুল , ওসমান গনি, জহিরুল ইসলাম, আনীস আক্তার টিটু, কাজী আলম, গাজী সিরাজ, ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, শেখ রাসেল, শহিদুল ইসলাম, মহসিন কবির, নুর হোসেন, আহমেদুল আলম চৌধুরী টুটুল, জসিম উদ্দীন, নিজাম উদ্দীন লিটন, শাহেদা বেগম, নুরী মাহফুজা, জোবায়দা শিরিন, মো: হারুন অর রশিদ, শিহাব উদ্দীন, মুজাহিদুল ইসলাম রুবেল, হাকিম উদ্দীন, এস. এম হারুন প্রমুখ।