অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সরকারি বরাদ্দ নিয়ে বিএনপির দুই এমপির সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০

3
.

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে বিএনপির দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার বিকালে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ফাস্ট গেটে এই সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

সূত্র জানায়, কাবিখা কর্মসূচির (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) বরাদ্দকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের বিএনপি দলীয় এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া এবং দলের কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া বরাদ্দকৃত কাবিখার চাল থেকে নিজের সমর্থক উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের জমাদ্দারপাড়ার জুনায়েদকে (২৮) দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থক শাহবাজপুর ইউনিয়নের ফাস্ট গেট এলাকার যুবদল নেতা জুয়েল (৩০)।

শনিবার বিকালে বিষয়টি নিয়ে ফাস্ট গেট এলাকায় জুয়েল উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞার সমালোচনা করলে প্রতিবাদ জানান জুনায়েদ। এক পর্যায়ে রুমিন ফারহানার সমর্থকরা সাত্তার ভূইয়ার সমর্থক ব্যবসায়ী বাবুল মিয়াকে মারধর করেন। পরে বিকেল ৫টার দিকে দুইপক্ষের কর্মীরা জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে মুহূর্তে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষকালে বেশ কয়েকটি দোকানে ভাংচুর চালানো হয়।

খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ ও ভৈরব ক্যাম্প থেকে র‌্যাব সদস্যরা এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া নির্বাচনী এলাকার জন্য ১৬৬ মেট্রিক টন চাল কাবিখার জন্য এবং ৫০ লাখ টাকা টিআর হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছেন। ইতিমধ্যে এমপির নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানের জন্য প্রকল্প জমা দেয়া হলেও কাবিখা ও টিআরর টাকা বা চাল ছাড় দেয়া হয়নি।

এই বিষয়ে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি বরাদ্দ নিয়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মারামারি খুবই লজ্জার।

সরাইল থানার ওসি মো. মফিজ উদ্দিন ভূঞা জানান, বিএনপির দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মহাসড়কে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

৩ মন্তব্য
  1. রফিকুল আলম বলেছেন

    দুঃখজনক

  2. Bipul বলেছেন

    ক্ষমতায় না আসতেই বিএনপি নেতাকর্মীরা এত বেপরোয়া একবার ভেবে দেখুন যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসতো তাহলে কি অবস্থা হতো এই দেশের।বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতকে এমনি এমনি বর্জন করেনি। বিএনপি জামাতের লুটপাটের কথা আমরা এখনো ভুলে যাইনি।তারা ক্ষমতায় থাকতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেই সময়ের কিছু সিম্বল দেখাচ্ছে এখন

  3. Abidur rahman বলেছেন

    বিএনপি সম্পর্কে কিছু বলতে হলে আপনাকে আগে বিএনপির সম্পর্কে জানতে হবে আপনাকে জানতে হবে বি এন পির জন্ম কিভাবে হয়েছিল?কাদেরকে নিয়ে গঠিত হয়েছে বিএনপি নামক দলটি।একদল সুবিধাবাজ দের কে নিয়ে গঠিত হয়েছে বিএনপি যাদের অতীত রাজনীতির ইতিহাস বিভিন্ন দল করে এসেছিল তারা।ক্ষমতায় আসতে পারেনি কিন্তু ক্ষমতার একটু ছোঁয়া পেয়েই তারা শুরু করে দিয়েছে লুটপাটের জন্য মারামারি