অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে অনিয়ম নিজে দেখলেন সিভিল সার্জন

0
.

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়ে রুগীদের অভিযোগের শেষ ছিলনা, এছাড়া প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব এবং ডাক্তার সল্পতার কারনে হাসপাতালটি নিজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।রোববার (৯ জুন) সকালে স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ঝটিকা সফরে গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। এসময় বহির্বিভাগে সেবা নিতে অপেক্ষা করছিলেন রোগীরা। কিন্তু সেবা চালুর দেড়ঘণ্টা পরেও চিকিৎসকশূন্য ছিল বহির্বিভাগ।

ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, গিয়ে দেখি বহির্বিভাগে রোগী বসে আছেন, কিন্তু চিকিৎসক নেই। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম, চিকিৎসকরা মিটিং করছেন।‘এরপর চিকিৎসকদের বললাম আপনারা সবাই মিটিং করছেন কেন? কয়েকজন তো সেবা দিতে পারতেন। মিটিং করছেন-সেটা রোগীরা বুঝবে নাকি ? আমি আসার পর রোগীরা অভিযোগ দিলো, সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে চিকিৎসক নেই’ বলেন সিভিল সার্জন।সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। জোড়াতালিতে চলছে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা। রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মজিদ ওসমানী বলেন, চিকিৎসকরা একটি প্রশিক্ষণে ছিলেন। এজন্য বহির্বিভাগে তখন চিকিৎসক ছিল না।

উল্লেখ যে,যন্ত্রপাতির বিকলতা ও বিশেযজ্ঞ ডাক্তার ও সাধারণ ডাক্তারের স্বল্পতার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত অত্র এলাকার জনসাধারণ। ২০১১ সালে হাসপাতালটিকে ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সংযুক্ত করা হয়নি সে অনুযায়ী আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় বিশেযজ্ঞ সার্জন। ডেলিভারি যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হলেও এনেসথেসিয়া বিশেযজ্ঞ না থাকায় সিজার অপারেশন (গাইনি) করা যাচ্ছে না। ফলে ঐসব যন্ত্রপাতিও ক্রমান্বয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

অন্যদিকে টেকনিশিয়ান ও তেলের অভাবে বিকল হয়ে পড়ে আছে এক্সরে মেশিন ও জেনারেটর। এছাড়াও সরকারী এই হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে রুগীদের রয়েছে নানা অভিযোগ। সিভিল সার্জন এর পরিদর্শনে স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে সমস্যার কিছুটাও সমাধান হবে বলে আশা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।