অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাঙামাটিতে মালবাহি ট্রাক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা

1
.

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজলোয় মালবাহী একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।  আজ সোমবার ভোর ৬টার দিকে উপজলোর বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের রাবার বাগান এলাকায় ট্রাকে এ আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

গাড়ির হেলপার ও স্থানীয়রা জানান, আজ ভোর ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে বাঘাইছড়িগামী একটি মালমাল বোঝাই ট্রাক অস্ত্রের মুখে থামিয়ে চালক ও হেলপারকে নামিয়ে পেট্রোল দিয়ে গাড়িতে আগুন দেয় চার সন্ত্রাসী। এসময় তাদের হাতে অস্ত্র ছিলো।

এ ঘটনায় গাড়িতে থাকা ১০ লক্ষ টাকার মুদি মালসহ ট্রাকটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই বাঘাইহাট জোন ও হাজা ছড়া ৫৪ বিজিবির টহলদল সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে চালক ও হেলপারকে উদ্বার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযোগের তীর প্রসতি খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটডে পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট্রের (ইউপিডিএফ) দিকেই।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকের মালিক ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক কমশিনার মো. আলী হোসেন ইউপিডিএফকে দায়ী করে বলনে, আমার গাড়িতে পাহাড়ের আঞ্চলকি দল ইউপিডিএফ আগুন দিয়েছে। আগুন দেয়ার র্পূবে শুকনা ছড়া নামক জায়গায় ১ হাজার টাকা চাঁদাও নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি এটাই আমার বড় অপরাধ। এজন্য ইউপিডিএফ আমার গাড়িতে আগুন দিয়েছে। না হয় দুটি গাড়ি একই সাথে আসছিলো, একটি ছেড়ে দিয়ে আমার গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।

মারশ্যিা বাজারের ব্যবসায়ী ও মালামাল পরবিহন মাঝি সাহাব উদ্দনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল ইউপিডিএফ। কিন্তু সময়মতো চাঁদা না দিলে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়সহ নানা রকম হয়রানি করে। কিছুদিন পূর্বেও গাড়ি ঢিল ছুড়ে গ্লাস ভেঙে দেয় এবং আজ সকালে গাড়িতে আগুন দেয়।

এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নরিন চাকমার মুঠোফোনে চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে এ ঘটনার পর সীমানা জটলিতায় নানা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আবুল মনজুর বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি, সন্ত্রাসীরা একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ঘটনাস্থল সাজেক থানার আওতাধীন হওয়ায় সাজেক থানার ওসি বিষয়টি দেখছেন।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাজেক থানার অফিসার ইনর্চাজ নুরুল আনোয়ার বলনে, ঘটনাস্থল এলাকাটি আমার থানায় পড়েনি, কবাখালি দীঘিনালা থানায় পড়েছে।

১ টি মন্তব্য
  1. Faruk Hossan বলেছেন

    সরকার এই সব চাঁদা বাজি কি বন্ধ করতে পারে না?