অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

৫২টি নিষিদ্ধ পণ্যকে পূণরায় উর্ত্তীর্ণ বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ বিএসটিআই’র বিরুদ্ধে

0
.

পূনঃ নিরীক্ষার নামে মানহীন নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২ টি পণ্যকে পূনরায় মান উত্তীর্ণ বলে চালিয়ে দেবার ঘটনাকে অনভিপ্রেত, অনাকাংখিত এবং  সরকারী সংস্থা বিএসটিআই’র মান পরীক্ষণ সম্পর্কে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টির অবকাশ বলে মন্তব্য করেছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

পুণঃপরীক্ষণ হতে হলে তৃতীয় পক্ষের পরীক্ষাগারে হওয়া উচিত এবং সেখানে বিএসটিআই ও সংস্লিষ্ঠ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ভোক্তা প্রতিনিধি হিসাবে ক্যাব ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি দরকার ছিলো মন্তব্য করে ক্যাব নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষিত মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে বাজার থেকে সব নিষিদ্ধ পণ্য তুলে নেবার দাবি করেন।

ক্যাব বলেন, বিএসটিআই এর ৫২টি পণ্যের নিষিদ্ধ ঘোষিত হবার পর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হাইকোর্টে আইনী লড়াইয়ে হেরে গিয়ে বিএসটিআইকে ম্যানেজ করে পূনঃনিরীক্ষনের আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষনার ১৭ দিনের মাথায় ওয়েলফুড ও মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইয়ের লবন, নিউজিল্যান্ড ডেইরির ডুডলস নডুলসসহ বেশ কিছু পণ্য বিএসটিআই’এর পুনঃনিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার ঘটনায় দেশবাসী তথা ভোক্তারা শংকিত।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হ্ইাকোর্টে আইনী লড়াইয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে চিরাচরিত প্রথায় বিএসটিআইকে ম্যানেজ করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জাতিকে লজ্জিত করেছেন। কারন বিএসটিআই এর মান সনদ প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সীমাহীন ভোগান্তি নিয়ে প্রতিনিয়তই সংবাদমাধ্যমগুলো সোচ্চার। কিন্তু দুর্নীতি ও অনিয়মে অকুন্ঠ নিমজ্জিত এ প্রতিষ্ঠানকে সেখান থেকে বের করা যাচ্ছে না। সেকারনে একই পণ্য একবার নিরীক্ষণে মানহীণ প্রমানিত হয়, আবার পূণঃনিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, বিষয়টি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিজের মান সম্পর্কেই সাধারন জনগনের সন্দেহ জাগা স্বাভাবিক। একই সাথে মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশনা অনুসারে বাজার থেকে পণ্যগুলি তুলে না নিয়ে পুনঃনিরীক্ষণের নামে অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজসে নতুন ফন্দি আটকানো ও হাইকোর্টের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সামিল বলে মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে মান পূণঃ পরীক্ষায় নিয়োজিত পরিচালক(মান) ইঞ্জিনিয়ার ইসহাক আলী সুদীর্ঘ ১২ বছর বিএসটিআই চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে দায়িত্বপালনকালীন সময়ে খাদ্য ও ভোগ্য পণ্যের মান নিশ্চিতকরণে মান সনদ প্রদানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা তদন্তে গঠিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মশিউর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত টিমকে বিগত ১৮ মে ২০১৭ইং চট্টগ্রাম কার্যালয়ে সাক্ষ্য প্রমান উপস্থাপিত হয়েছিল। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন থেকেও তদন্ত করা হয়। যা তদন্ত টিমে প্রমানিত হলেও অদৃশ্য কারনে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য শাস্তি না হয়ে তার পদোন্নতি হয়ে পরিচালক পদে বিএসটিআই কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে পদায়ন হয়। সেকারনে একজন চিহ্নিত দুর্নীতি ও অনিয়মে অভিযুক্ত প্রমানিত ব্যক্তির কাছ থেকে অনিয়ম ও পক্ষপাতদুষ্ঠ ছাড়া নিরীক্ষা পাওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরও বলেন বিএসটিআই এর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ইসহাক আলীর নেতৃত্বে বিগত ১২ বছরে চট্টগ্রাম কার্যালয়কে দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিনত করেছিলেন। বিশেষ করে লাইসেন্স প্রাপ্তিতে বিপুল অনিয়ম, টাকা ছাড়া কোন পণ্যের মান যাচাই সনদ পাওয়া যায় না, ১০-১৫ হাজার টাকা ছাড়া লাইসেন্স জন্য আবেদন করা যায় না, লাইসেন্স প্রদানে গড়িমসি, অবৈধ কোম্পানীগুলির সাথে মাসিক মাসোহারায় চুক্তিতে ব্যবসা করা, প্রতিদিন ফেনী, ককসবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি সহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিএসটিআই চট্টগ্রাম অফিসে উৎপাদনকারীরা দই, মিস্টি, পাউরুটি, সরিষার তৈল নিয়ে আসে, আর বিএসটিআই চট্টগ্রাম অফিসে বসে তা সিলগালা করে লেভেল লাগিয়ে ল্যাবে পাঠানো এবং আর এ সমস্ত কোম্পানী গুলির সাথে মাসিক চুক্তি ভিত্তিতে ব্যবসা পরিচালিত হয়। আর ৮,০০০/- সরিষার তৈল, ২০,০০০/- বিস্কুট, পাউরুটি, কেক, দই ১৫,০০০/-যারা কন্ট্রাক্টএ লাইসেন্স প্রদান করা, কোন কারনে নমুনা পরীক্ষায় অকৃতার্য ফলাফল হলে তা সম্পর্কে সংস্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয় না, বিএসটিআই লাইসেন্স প্রদানের চেয়ে না দিয়ে সংস্লিষ্ঠ(লাইসেন্সবিহীন) প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মাসিক মাসোহারার চুক্তিতে বেশী আগ্রহী, সেকারনে লাইসেন্স প্রদানে অনেকগুলি প্যারামিটার ও শর্ত যোগ করে অবৈধ কোম্পানীগুলিকে নিরাপদে ব্যবসা করার জন্য সুযোগ করে দিচ্ছে।

জানা যায় ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম শহরে ১২০-১০০টি মিনারেল ওয়াটার কোম্পানীর লাইসেন্স ছিল বর্তমানে তা ১৮-২০টিতে নেমে এসেছে। আর অধিকাংশ ফ্যাক্টরী এখন মাসিক মাসোহারা ভিত্তিতে চলছে। চট্টগ্রামের অধিকাংশ বেকারীর বিএসটিআই লাইসেন্স নেই, প্রতিটি বেকারী পণ্যের গায়ে বিএসটিআই’র লগু লাগানো থাকলেও বেকারী পণ্যের বাজারজাত হলে লাইসেন্স প্রদান করা হয় না এবং উক্ত কারখানার নমুনা পরীক্ষা করা হয় না। প্রতিবছর ঈদ ও রমজানের পুর্বে ৫০ হাজার থেকে দুই লক্ষ টাকায় লাচ্ছা সেমাই, নুডুলস, চুটকি ইত্যাদি মৌসুমী পণ্যের বিএসটিআই এর লাইসেন্স প্রদান করা, ভোজ্য তেল সয়াবিন ও পাম্প অয়েল এর আমদানিকারক চট্টগ্রামে ২৫টিরও বেশী উৎপাদনকারী এবং ৫০টির বেশী ব্রান্ডের বাজারজাত হলেও বিএসটিআই অফিস থেকে লাইসেন্স না দিয়ে মাসিক মাসোহারা হারে কারখানা পরিচালনা করছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত খাদ্য, পানীয় প্রতিদিন প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৫ টার পরে বিনা পরীক্ষায় ডকুমেন্ট হিসাবে অর্থের বিনিময়ে সিএনএফ এজেন্ট এর কর্মীদের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদান করছে। চট্টগ্রামে গুড়ো দুধ বা পাউডার দুধ আমদানিকারক এমএইচ, আবুল খায়ের, নিউজিল্যান্ড ডেইরী, সানোয়ারা হলেও ২৯টি কোম্পানী স্থানীয় ভাবে বাজারজাত করছে। সবগুলি পাউডার দুধ আমদানীকারকরা বিএসটিআই অফিসের সাথে মাসিক চুক্তিতে ব্যবসা করছে।

বিএসটিআই ওয়েবসাইট ও তাদের অফিসের ১৬৬টি পণ্যের লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ তালিকা নেই। যার কারনে জনগন ও ভোক্তারা জানতে পারছে না কোন কোন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স প্রাপ্ত আর কোনগুলো লাইসেন্সবিহীন। ফলে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অপর দিকে উদ্যোক্তাদের তাৎক্ষনিক সেবা প্রদানের জন্য ওয়ান স্টেপ সার্ভিস নামে একটি সেবা বিএসটিআই অফিসে চালু করা হলেও দরখাস্ত জমা দিতে গেলেও কোন কর্মকর্তার রেফারেন্স ছাড়া আবেদনপত্র ও চিঠিও গ্রহন করা হয় না। বিএসটিআই অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স প্রদানের পর ৬ মাস অন্তর অন্তর মার্কেট সার্ভিলেন্স করে ঐ পণ্যের গুনগত মান পরীক্ষা করে দেখার কথা। কোন ত্রুটি পেলে সংস্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলি ও ভোক্তাদেরকে অবহিত করার কথা থাকলেও অদ্যবদি এ কাজটি একেবারেই করা হচ্ছে না।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের আওতায় খাদ্য, পাণীয়, বৈদ্যুতিক, বেকারী পণ্যের লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কোন তালিকা নেই। এমনকি চট্টগ্রামে কতজন আর্ন্তজাতিক বাজার থেকে সয়াবিন, পানি, দুধ পাউডার, বেকারী, বৈদ্যুতিক পণ্য এনে বিক্রি করেন তার কোন তালিকা নেই। ফলে যে যেভাবে পারে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এছাড়াও লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য নেই। যার কারনে শিশু খাদ্য, সয়াবিন, জুস, পানি, পাউডার দুধের রমরমা ব্যবসা চলছে চট্টগ্রামসহ পুরো দেশে। কিন্তু এগুলো দেখার কেউ নেই।

চট্টগ্রামে ফ্রান্স থেকে খাবার পানি (evian water), Musafi জুস, Red Bull এনর্জি ড্রিংকস,Drunk জ্যাম জেলি, Munchy biscuit প্রতি মাসে ২০-২৫ কন্টেইনার আমদানি হয়। বিএসটিআই চট্টগ্রাম অফিসে পানি বা জুস পরীক্ষার কোন ল্যাব না থাকলেও তারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এ সমস্ত খাদ্য ও পানীয়গুলি খালাস করার অনুমতি/ছাড়পত্র প্রদান করছে, এমনকি পাউডার দুধের কতজন আমদানিকারক আছেন তার কোন সুনিদিষ্ঠ তালিকাও তাদের কাছে নেই। লাইসেন্স বিহীন অসংখ্য খাদ্য পণ্যের বাজার সয়লাব হলেও তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। বিদেশ থেকে আমদানীকৃত জুস, এনার্জি ড্রিংকস, কোমলপানীয় আমদানির পর বিএসটিআই চট্টগ্রাম অফিস হতে দ্রুত ছাড়পত্র গ্রহন করে বন্দর থেকে ডেলিভারী হলেও বিএসটিআই চট্টগ্রাম ল্যাবে তা পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে ভরপুর। বিদেশ থেকে আমদানীকারক ও ক্রেতারা যারা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য খালাস করে তারা প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫ টার পরে তাদের সিএনএফ এজেন্টরা পণ্যের নমুনা নিয়ে বিএসটিআই অফিসে হাজির হয়। বারংবার তাগাদা দেবার পরও তারা market surveillance ও লাইসেন্স প্রদানকৃত কোম্পানীগুলির পণ্যগুলির মান যাচাইয়ের জন্য কোন সার্ভিল্যান্স করছে না। ফলে তারা যাদেরকে লাইসেন্স প্রদান করছে সে সমস্ত কোম্পানীগুলিকে লাইসেন্স পাবার পর তাদের পণ্যের মান কি রকম হচ্ছে তা যাচাই করা হচ্ছে না।

অন্যদিকে লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলি কর্মকান্ড প্রতিনিয়তই বাড়ছে। অনেকে প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই এর ভুঁয়া লগু ছাপিয়ে অবাধে বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহনের পরিবতে মাসিক চুক্তিতে কাজ চলছে বলে অনেকেই আমাদেরকে জানিয়েছেন। বাজারে সকল ডিজিটাল স্কেল কেলিব্রেশন না করা এবং বাজারে দুধ, তেল, সেমাই, চা পাতা, নুডুলস ইত্যাদি ওজনে কম দিলেও ২০০ গ্রামে ১৮০ গ্রাম, ১ কেজিতে ৯৫০ গ্রাম দেয় হলেও কোন তদারকি নেই, ডিজিটাল স্কেল দিয়ে স্বর্নের দোকান, মসলার দোকান, তোলা, ভরি ইত্যাদি পরিমাপ করা হলেও তাদেরকে কেলিব্রেশন এর জন্য কোন ব্যবস্থা নেই।

পণ্য পরিবহনের জন্য গাড়ী, কাপড় মাপার জন্য স্কেল, পেট্রোল পাম্পগুলির ওজন পরিমাপক যন্ত্রগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করার কথা থাকলেও তাদের সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেই, ভেজাল ও নিন্ম মানের ঘি বাজারজাত করতে বাবুর্চিদের প্রতি কৌাটাতে ২০০-৩০০ টাকা কমিশন প্রদান করছে। বাবুর্চিরা মাসিক মাসোহারা ও কমিশনের ভিত্তিতে এগুলো বিয়ে বৌভাত, আকিকা, মেহেদী অনুষ্ঠান, অন্নপ্রশাদ, বিভিন্ন পার্টিতে এ সমস্ত ঘি ব্যবহার করছে। এ সমস্ত ভেজাল ঘি এর কারনে প্রকৃত ও মানসম্মত ঘি এর দাম দ্বিগুন হলেও বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ এ সমস্ত ভেজাল ঘি এর বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য বা অভিযান পরিচালনা করছে না। এ সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিগত ২৮ নভেম্বর ২০১৬ইং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তৃপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে শিল্প সচিব বরাবরে অভিযোগগুলি উপস্থাপন করা হলে বিগত ১৭-১৮ মে ২০১৭ইং শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত টিম চট্টগ্রামে এসে অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখলেও অদৃশ্যকারনে তার কোন প্রতিকার না হয়ে অধিকন্তু দোষীদের পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ|