দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগেও ৪০ মাস সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। তখন ৩৫০ কোটি টাকা উদ্ধার সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
সেই মামলার তদন্তে অসততার অভিযোগ উঠলে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে পরে পরিস্থিতি সামলে উঠে চাকরিতে পুনর্বহাল হন তিনি, পান পদোন্নতি।
এদিকে ডিআইজি মিজানুর রহমানের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান, তথ্য ফাঁস ও ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় বিতর্কিত এ কর্মকর্তা নিজের নামে কোনও সম্পদ নেই বলে দাবি করেছেন।
তবে তার নামে রাজধানীর মেরাদিয়ায় ৬ শতাংশ জমির ওপর স্থাপিত একটি স্কুলের সন্ধান মিলেছে। এছাড়া তার স্ত্রী নামে উত্তরায় একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
এনামুলের দাবি, তার এবং স্ত্রী শেফার সার্ভিস অ্যাকাউন্টের বাইরে কোনও ব্যাংক হিসাব নেই। তবে অনুসন্ধানে রুমানা শাহীন শেফার নামে সার্ভিস অ্যাকাউন্টের বাইরে সোনালী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংকে দু’টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য মিলেছে।
এদিকে অসততার অভিযোগে আগেও ৪০ মাস সাময়িক বরখাস্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন খন্দকার এনামুল বাছির বলেন, দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে যখন দুর্নীতি দমন কমিশন হলো, তখন ৪০ মাস চাকরি ছিল না। আমি একটা মামলা তদন্ত করেছিলাম, তাতে ৩৫০ কোটি টাকা রিকভার হয়েছিল।
সেই সময়ে বিবাদী পক্ষ ব্যুরোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত কিনে ফেলে। তারা আমাকে ঘরে পর্যন্ত ঘুমাতে দেয়নি। কিছু দিন পর পর আমার কর্মস্থলও পরিবর্তন করা হতো। যখন কমিশন হয় তখন আমাকে অবহেলা করা হয়েছিল। আমার কাছে এবারের অভিযোগ নতুন কিছু না।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরোর নাম হয় দুর্নীতি দমন কমিশন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তৎকালীন পিজি থেকে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) স্নাতকোত্তর খন্দকার এনামুল বাছিরের পড়াশোনা শেষ হয় ১৯৮৮ সালে।
১৯৯১ সালে তিনি দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। পরিচালক হওয়ার আগে দুদকের আইন বিভাগের উপ-পরিচালকও ছিলেন তিনি। তার চাকরির মেয়াদ আছে আরও তিন বছর।
ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চালায় দুদক। গত মাসে ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমাও দেওয়া হয়। অনুসন্ধান করেন দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে দু’দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তিনি। আর ওই ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে কথোপকথনের অডিও প্রকাশ করেন ডিআইজি মিজান।
এদিকে ঘুষ নেওয়া ও তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর দুদক কর্মকর্তা বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক। আর ডিআইজি মিজানের ঘুষ দেওয়ার ঘটনা নজরে আসায় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
তবে ডিআইজি মিজানের সঙ্গে কথপোকথনের অডিও রেকর্ডটি ‘ম্যানুফ্যাকচারিং’ এবং মিথ্যা দাবি করে খন্দকার এনামুল বাছির বলেন, এটা ডিজিটাল জালিয়াতি’। ডিআইজি মিজান সবসময় নিজেকে ‘আনটাচেবল’ মানুষ মনে করেন। তার দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্ত হোক, সেটা তিনি চাননি।
হুমকি-ধমকিতে যখন কাজ হয়নি তখন মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। দুদক এবং আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছেন ডিআইজি মিজান। ডিআইজি মিজান নানাজনকে টুকরো টুকরো করে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন দাবি করে বাছির বলেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে।
দুদক কর্মকর্তা বাছিরের দাবির বিষয়ে ডিআইজি মিজান বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি অডিও কথোপকথনটি বাছিরেরই। সে যা-ই দাবি করুক তাতে কিছু যায় আসে না। প্রযুক্তিগত যত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হোক তাতেও অডিও কথোপকথনটি যে বাছিরের তা-ই প্রমাণিত হবে।
হায় হায়
আগে দুদককে পরিষ্কার করুন
দুজনই বড় রকমের সুবিধাভোগী। দুদকের বাছির দেয়া ৪০ লক্ষ টাকা মিজান সাহেব কিভাবে সংগ্রহ করছে :- সেই বিবরণ অত্যাবশ্যক
He came 2nd time like a great hero with enlarge his ‘ Booker pata ‘