প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গ্রেফতারকৃত মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান হাসান (৩০) এর দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও পোপাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম জসিম উদ্দিন।
চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের নাম জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার প্রতিবাদে আজ (১০ সেপ্টেম্বর) শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় পোপাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান এসএম জসিম জানান, ‘উপজেলা যুবলীগের কথিত দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান হাসান মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় সম্প্রতি গ্রেফতার হয়। ৫ দিনপর সে জামিনে বেরিয়ে এসে আমার নাম জড়িয়ে তার ফেইস বুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসানের ফেইসবুক ওয়ালে দেয়া পোস্টে বলা হয়‘ পোপাদিয়ার অহংকার চার চারবারের চেয়ারম্যান এস এম জসিম ভাইকে ধন্যবাদ আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করে জামিনে মুক্ত করার জন্য।’ ফেইসবুকে দেয়া পোষ্টের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো চুরিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কখনও জামিন নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমাকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হাসান একজন প্রকৃত চোর ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার চুরির অনেক ঘটনা জানা আছে। সে বিভিন্ন অপকর্ম করে এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে।
তিনি সম্মেলনে এলাকায় চোর মাদক ব্যাবসায় অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে বলেন, বর্তমান যুবলীগের কমিটির কাছ থেকে অর্থে বিনিময়ে টিকেট নিয়ে দলের নাম ভাঙিয়ে এ অপর্কম চালাচ্ছে হাসান। তার পিছনে দলের প্রভাশালী মহল ইন্ধন যোগাছে বলে অভিযোগ আনেন এ চেয়ারম্যান।
যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান হাসান দক্ষিণ জেলা আওেয়ামী লীগ সভাপতি মুসলেম উদ্দিনের অনুসারি বলে জানাগেছে।
উল্লেখ্য উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান হাসানকে গত ৩১ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোটর সাইকেল চুরির অপরাধে কালুরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে হাসান সংঘবদ্ধ মোটর সাইকেল চোরচক্রের সক্রিয় দলনেতা। তার বিরুদ্ধে বহু মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ রয়েছে। সে বোয়ালখালীসহ বিভিন্ন থানায় মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল।
এসব ব্যাপারে যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান হাসান বলেন, আমি জেলে থাকাবস্থায় কে বা কারা আ্মার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তিনি বলেন, বোয়ালখালিতে আওয়ামী লীগ দুইভাগে বিভক্ত। একটা মুসলেম উদ্দিন গ্রুপ অপরটা আবুল কালাম গ্রুপ। আমি গ্রুপিং রাজনৈতির শিকার।
হাসান তার বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল চুরি অভিযোগ অস্বিাকার করেন। তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা কিংবা জিডি নাই। সন্দেহজনক পুলিশ আমাকে থানায় ধরে নিয়ে নির্যাতন করে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমি পর দিন জামিন পেয়ে যাই।