অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ক্ষতি নয়, একচামচ ঘি বদলে দেবে আপনার জীবন!

0
.

খালি পেটে ঘি খেতে পারলে শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

হাইলাইটস
• মা-ঠাকুমার আমলে গরম ভাতে কয়েক চামচ ঘি দিয়ে খাওয়া শুরু করা হতো।

• নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে সে ট্র্যাডিশন গায়েব হচ্ছে দিনকে দিন।

• কারণ অনেকেই মন করেন, ঘি খেলে ওজন কমানো তো যাবেই না, বরং তা বাড়বে।

ওজন কমানো নিয়ে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ে! ডায়েট চার্ট বানিয়েও কোলেস্টরল বা হার্টের অসুখ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। জানেন কি, রোজকার খাবার নিয়ে এমন কিছু ভুল ধারণা রয়েছে যার ফলে আপনি ভুল ডায়েট ফলো করেছেন।

মা-ঠাকুমার আমলে গরম ভাতে কয়েক চামচ ঘি দিয়ে খাওয়া শুরু করা হত। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে সে ট্র্যাডিশন গায়েব হচ্ছে দিনকে দিন। কারণ অনেকেই মন করেন, ঘি খেলে ওজন কমান তো যাবেই না, বরং তা বাড়বে। বিশুদ্ধ দেশি ঘিতে রয়েছে ৬৫ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ৩২ শতাংশ মুফা। মুফা কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে যতই সানফ্লাওয়ার বা কটনসিড অয়েলের বিজ্ঞাপনে দাবি করুক না কেন, দেশি ঘি কিন্তু এদের থেকে বহু গুণ স্বাস্থ্যকর।

একাধিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘি, সঠিক পদ্ধতি মেনে নিয়মিত খেতে পারলে ওজন বাড়বে না বরং কমবে। এ ছাড়াও ঘি এর একাধিক উপকারিতাও রয়েছে। মস্তিষ্কের সচলতা বজায় রাখতে প্রয়োজন উপকারী ফ্যাটের। ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট যা মস্তিষ্কের কোষের কর্মমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও ঘি বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। খালি পেটে ঘি খেতে পারলে শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

একই সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রকে চর্বিমুক্ত করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নির্মূল করতে সাহায্য করে ঘি। এ ছাড়াও অ্যালার্জি প্রতিরোধে, সর্দি-কাশির কষ্ট কমাতে ঘি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।