অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভালোবাসার বিভিন্ন জুটি

0
.

ভালোবাসলেও সবার সাথে ঘর বাঁধা যায় না- কথাটি পুরোপুরিই সত্যি। কেউ কেউ ভালোবেসে সুখের ঘর বাধলেও অনেকের ক্ষেত্রে ঘর বাধা তো দুরের কথা, ভালোবাসা বালির বাধের মতো ভেঙে পড়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর। ভালোবাসার একটি স্থায়ী পরিণতি দানের ব্যাপারে ছেলে-মেয়ে উভয়কেই প্রায় সমান ভূমিকা পালন করতে হয়। তা না হলে ভালোবাসা টিকে না।

আর ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে টানা ৯ মাস গবেষণা করে ইল্লিনোইস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া, ভালবাসা আরও বেশ কিছু বিষয়ের ভিত্তিতে ৩৭৬ জন কাপলকে ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন। কোন প্রকারের জুটির প্রেম টপকে বিয়ের সিঁড়ি অবধি গমনের সম্ভাবনা বেশি, সেই বিষয়ে খানিক ইঙ্গিত দিলেন তারা।

১) নাটুকে জুটি- বাহ্যিক প্রেম প্রকাশের বহর খুব বেশি হলেও এই ধরণের কাপলের ব্রেকআপের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে। সম্পর্কে দায়বদ্ধতার অভাব থেকেই নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য বাড়ে। প্রকাশ্যে ঝগড়া ঝাঁটি না করলেও মনে মনে রাগ পুষে রাখে। মিষ্টি মুখে সারাক্ষণ একে অপরের সমালোচনা করে। সম্পর্কে ভাল দিক গুলো অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র খারাপটুকু নিয়ে মেতে থাকে এরা। এই ধরনের কাপলদের বিয়ে টেকার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।

২) সঙ্গীদের খেয়াল রাখে যে জুটি- এই ধরনের জুটির সম্পর্ক সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদী হয়। একজন আরেক জনের উপর ভরসা করেন, সম্পর্কের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন। সম্পর্কে ভাল-খারাপ সব কিছুকে নিয়েই চলতে পারেন। বিবাহিত জীবনেও এরাই সব থেকে সুখী হন।

৩) ঝগড়াটে জুটি- প্রায় কোনো বিষয়েই এদের মতৈক্য হয় না। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রে একে অপরের বিপরীতে কথা বলাই এদের অভ্যাস। অদ্ভুতভাবে বিবাদ সত্ত্বেও এদের সম্পর্ক কিন্তু সহজে ভাঙে না। হুঠ করে একজন অন্যজনকে ছেড়ে যায় না। সম্পর্কের প্রতি এরা কমিটেড হয়। তাই প্রেমটা টিকে ধাকলে বিয়েটাও টিকে যায়।

৪) সামাজিক ভাবে জড়িত জুটি- এরা নিজেদেরকে নিয়ে সুখীই থাকে। এদের সম্পর্কে স্থায়িত্বও থাকে। সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এরা একটা সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে কাজে লাগায়। সেই নেটওয়ার্কের উপর তাদের বিশ্বাসও অগাধ।