অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সন্তানের বুদ্ধি যাচাই করবেন যেভাবে

0
.

সন্তান বুদ্ধিমান হোক, তা আর কোন মা-বাবা না চান? জানেন কি, শিশুর জন্মের পর থেকেই তার নানা স্বভাব ও অভ্যাসই বলে দিতে পারে সে আদৌ বুদ্ধিমান হবে কি না। সন্তানের নানা কাজকর্মের দিকে একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন তার মধ্যে বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার কোনও বৈশিষ্ট্য আছে কি না।

আসুন জেনে নেই কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান কী বুদ্ধিমান?

কথা বলতে শেখা

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বছরের আশপাশে পৌঁছলে তবেই শিশু দু’-একটা শব্দ বলতে শেখে, দেড় বছরের মাথায় তা আরও স্পষ্ট হয়। যদি আপনার সন্তানের মধ্যে কথা বলতে শেখার প্রবণতা আরও তাড়াতাড়ি আসে, তা হলে বুঝতে হবে সন্তান বুদ্ধিমান। তার শেখার ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে বেশি সক্রিয়।

অচেনা ব্যক্তি

অচেনা কারও সঙ্গে শিশু কি সহজেই মানিয়ে নিতে পারে? যদি তেমন হয়, তা হলে যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে আপনার সন্তান অনেকটা এগিয়ে।

একগুঁয়ে

খুব একগুঁয়ে হওয়া যেমন সমস্যার, তেমন শিশুর কিন্তু একটু-আধটু জেদ থাকাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, কোনও বিষয়ে একেবারেই একগুঁয়ে না হলে শিশুর নিজস্ব বিচার ক্ষমতা ও দৃঢ়তা তৈরি হয় না। বুদ্ধি তৈরিতে এই দুই-ই প্রয়োজন।

বসতে শেখা

শিশুদের বসতে শেখা, হামা দেওয়া, দাঁড়াতে শেখা— প্রত্যেকটিরই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। আপনার সন্তান কি সেই সময়ে পৌঁছনোর কিছু আগেই শিখে ফেলছে সে সব? তা হলে তা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার অন্যতম লক্ষণ।

১৫ মিনিটেরও বেশি সময়

চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, যে কোনও খেলনা বা পছন্দসই বিষয়ে যে কোনও সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুর একটানা মনঃসংযোগ থাকার সময়সীমা ১৫ মিনিট। কিন্তু আপনার সন্তান কি কোনও একটি খেলনা, আঁকার বই নিয়ে একমনে মেতে থাকতে পারে ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে? তা হলে সে ‘ফোকাসড’। বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক তা।

প্রশ্ন করা

কথায় কথায় প্রশ্ন করে সন্তান উত্যক্ত করে আপনাকে? সব বিষয়েই কী-কেন-কী ভাবে— এ সব প্রশ্ন লেগেই থাকে সন্তানের মুখে? তা হলে বিরক্ত না হয়ে আনন্দিত হওয়া উচিত। কৌতূহলী শিশু মানেই, ধরে নেওয়া হয় তার বুদ্ধি অন্যদের চেয়ে বেশি।