অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বন্দরটিলায় নিজ দোকানে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ

0
ছবি- এনাম হায়দার।

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম সঞ্জয় ধর (৪৬)। তিনি কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেয়ারকুল গ্রামের মৃত সুধারাম ধরের পুত্র।

রবিবার (২৩ জুন) দুপুরে বন্দরটিলার মনিশ্রী জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ইপিজেড থানা পুলিশ।

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর নুরুল হুদা জানান, মনিশ্রী জুয়েলার্স থেকে সঞ্জয় ধর নামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কখন বা কারা হত্যা করেছে তা তদন্তের মাধ্যমে বের করা হবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বন্দর জোনের ডিসি হামিদুল আলম ও বন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কামরুল ইসলাম।

এলাকাবাসীর ধারণা ডাকাতরা রাতের কোন এক সময় সন্জয়কে গলা কেটে হত্যা করে। যাবার সময় ডাকাতরা দোকানটির অন্যান্য মালামালের সাথে মনিটর ও সিসি টিভি ক্যামেরাও নিয়ে যায়।

.

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাতে ওই দোকানে ৪ থেকে ৫ জন লোক বসে তার সঙ্গে আড্ডা দিয়েছিলেন। মনিশ্রী জুয়েলার্সে স্বর্ণ কেনা-বেচার পাশাপাশি সুদের ব্যবসাও চলতো।

নিহতের মামাত বোন ঝর্ণা ধর জানান, শুক্রবার (২১ জুন) রাত থেকে রবিবার (২৩ জুন) পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা সঞ্জয় ধরের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়। পরিবারের সদস্যরা চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আজ দুপুরে পরিবারের সদস্যরা নিহতের চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে মৃত্যুর সংবাদ পান। নিহতের দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। কয়েকদিন আগেই বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে বলে জানান তিনি।

এলাকাবাসী জানায়, ওই দোকান থেকে পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ এসে দেখে সঞ্জয় ধরের গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। তার পেটের দুইপাশেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, টাকার লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনায় সঞ্জয়কে হত্যা করা হয়েছে। যাওয়ার সময় সিসিটিভি খুলে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) মো. কামরুল হাসান বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ করছে।