অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঘুম কম হলে হতে পারে প্রাণহানি, মত বিশেষজ্ঞদের

0
.

পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া ডেকে আনছে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, স্নায়ুরোগ, হতাশা, স্ট্রোক, হৃদ্‌রোগ, স্থূলতা, কিডনির রোগের মতো বিভিন্ন সমস্যা। বিছানায় শুয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মোবাইলে কথা বলা ডেকে আনছে ঘুমের সমস্যা। বেশি রাতে ঘুমোচ্ছেন, কারও ভোরে ঘুম আসছে, সারাদিন ঝিমুনিভাব, রাতে ঘুম বারবার ভেঙে যাচ্ছে।
এমন হলে অবহেলা করবেন না। অপর্যাপ্ত ঘুমে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে বলে জানাচ্ছেন নিদ্রা–বিশেষজ্ঞরা। ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটির পূর্বাঞ্চলীয় কো–অর্ডিনেটর ডাঃ সৌরভ দাশ জানিয়েছেন, ‘‌এখন কম ঘুম ইনসমনিয়া, ঘুম বেশি হাইপোসমনিয়া এবং ঘুমে ব্যাঘাত বা ঘুম ভেঙে যাওয়া, ঘুমের মধ্যে হাঁটাচলা করা প্যারাসমনিয়ার মতো রোগী বেশি। নাকডাকা, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া, স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য সচেতন হতে হবে। ভাল ঘুমের ওপর আমাদের শরীরের যাবতীয় কার্যকারিতা নির্ভর করে।’‌
স্লিপ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ হাসিব হাসান বলেন, ‘মানুষের জীবনযাপন বদলে গেছে। পরীক্ষার টেনশন, কাজের চাপ, অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে ঘুমের সময় কমে আসছে। দিনে যতই ঘুম হোক, রাতের ঘুমটা জরুরি। কারণ, ঘুমের মধ্যে মেলাটোনিন ও কর্টিজোল হরমোন নিঃসৃত হয়। যা শরীরে এনার্জি তৈরি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে জরুরি।’‌
ইএনটি সার্জেন উত্তম আগরওয়ালের কথায়, ‘‌ভাল ঘুমের অভ্যাস তৈরি করতে সচেতন হতে হবে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করতে করতে ঘুম চলে আসবে— এ ধারণা ভুল। চিকিৎসায় ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা ধরা পড়ে। জটিল সমস্যা হলে ওষুধ, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেরে ওঠা সম্ভব।’‌
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ ছিল ‘‌বিশ্ব ঘুম দিবস’‌। ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটির সঙ্গে কলকাতার সমনস স্লিপ ক্লিনিক ও ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর স্লিপ রিসার্চের যৌথ উদ্যোগে দিনটি পালিত হয়েছে। এ বছরের থিমে জোর দেওয়া হয়েছিল ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ ধরে রাখার ওপর। তারপরে অবশ্য সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে ঘুমের পরিমাণ কমছে। তা নিয়েই চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।