অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শুরুতেই নিজে নিজে ওষুধ নয়

0
.

মাথা ব্যথা হয় না, এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। আর মাথা ব্যথা হলেই আমাদের মধ্যে একটা পেইন কিলার খেয়ে নেয়ার প্রবণতাও অনেক বেশি। সাধারণ মাথা ব্যথা তেমন কষ্ট না দিলেও মাইগ্রেনের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী ও কষ্টকর।

মাইগ্রেনের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে, এতে আলো ও শব্দ সহ্য হয় না। এ ব্যথা থাকে দীর্ঘ সময় ধরে। সাধারণত কয়েক ঘণ্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত।

অনেক সময় বিশেষ কোন খাবার, পাউডার বা পারফিউমের উগ্রগন্ধ, সিগারেটের ধোঁয়া, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত বা কম ঘুম কিংবা ঠাণ্ডা থেকে মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যায়।

তবে শুরুতেই ওষুধ না খেয়ে, আমাদের জীবনাযাপন ও খাবারের কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে এ ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

মাইগ্রেন থেকে রেহাই পাবার কিছু উপায়:

• প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত
• অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা
• কড়া রোদ বা তীব্র ঠাণ্ডা পরিহার করতে হবে
• উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা
• বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা

খাবার মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে…

• ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- ঢেকি ছাঁটা চালের ভাত ও এ চালের বিভিন্ন পদ, আলু ও বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক
• বিভিন্ন ফল বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে
• আঙুরের রস মাইগ্রেন থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে
• সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি নিয়মিত খেলে উপকার হয়
• মাইগ্রেন দূর করতে গ্রিন টি বা এক কাপ কফি পান করুন
• ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিট
• ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম রয়েছে
• আদার টুকরো বা রস দিনে ২ বার জিঞ্চার পাউডার পানিতে মিশিয়ে পান করুন

এছাড়া মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল কাউকে ম্যাসাজ করে দিতে বলা। মাথায় এবং ঘাড়ে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় ফলে আপনি আরাম পাবেন এবং মাইগ্রেনের ব্যথা দূর হবে।

তবে ব্যথা বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।