অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সম্পর্ক টেকাতে ভারসাম্য

0
.

সজিব-কেয়ার তিন বছরের সংসার। তাদের বোঝাপড়াও বেশ ভালো, বলা যায় সুখী দম্পতি। তাদেরই বন্ধু নিলয়-সাথি কাছাকাছি সময়ই ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে জানা যায়, কিছুতেই দু’জনের মতের মিল হচ্ছিল না। আর কেউই কোনো বিষয়ে এক হয়ে সিদ্ধান্তও নিতে পারেননি। সব বিষয়ে অমিলের কারণেই তাদের দ্বন্দ্ব হত, এমন পরিস্থিতিতে সম্পর্ক থেকে শ্রদ্ধাবোধ-ভালোবাসা সবই কমতে শুরু করে। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না সাংসারিক অশান্তি আর প্রতিদিনের তিক্ততা, ফলাফল বিচ্ছেদ।

বিয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আর দাম্পত্য জীবন সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য সব দম্পতিই সর্বোচ্চ ছাড় দেন। তারপরও সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা যায়, মত-বিরোধের কারণে বিবাহতি জীবনে বিচ্ছেদের ২১ শতাংশই প্রথম তিন বছরের মধ্যেই হয়ে যায়।

যত দিন যায় এই হার কমতে থাকে, এভাবে ১০ বছর বা এক দশক যারা সফলভাবে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করতে পারেন, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের প্রবণতাও অনেক কমে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, দাম্পত্য স্থায়ী করতে প্রয়োজন ভারসাম্য রক্ষা করে চলা। কারণ দাম্পত্য সম্পর্ক খুবই স্পর্শকাতর। এই সম্পর্ক ভালো হলে যেমন এর ভালোলাগার কোনো পরিসীমা নেই, কোনো ধরনের ব্যতয় হলেও এরচেয়ে খারাপ কিছু আর হয় না। একসঙ্গে চলতে গেলে মত-পার্থক্য, অনেক কিছু না পাওয়ার হতাশা থাকবেই তারপরও দুই পক্ষকেই বিষয়গুলো মেনে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সব কিছুতেই একইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকেও বিরত থাকতে হবে। সহযোগিতা, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ আর ভালোবাসার সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য রক্ষা করাও জরুরি। যেমন সঙ্গীর সঙ্গে পরিবারের ভারসাম্য, নিজের আয়ের সঙ্গে সঙ্গীর চাহিদা পূরণের ভারসাম্য, বন্ধুদের সঙ্গে সময় দেয়ায় ভারসাম্য, অফিসের কাজ-বাইরের ব্যস্ততার পরও দু’জনের জন্য একান্তু সময়ের ভারসাম্য। যে যত ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারবেন, তার দাম্পত্য জীবন তত সুখী হবে।