ডিআইজি মিজানকে পুলিশের কাছে দিলেন আদালত
উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান জামিনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে পুলিশের হেফাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (০১ জুলাই) দুপুরে আগাম জামিন নিতে গেলে ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এস কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ সময় আদালত বলেন, ‘ডিআইজি মিজানের কর্মকাণ্ড পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।’
এদিকে আদালতের নির্দেশের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হচ্ছে বলে জানাগেছে।
এর আগে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে ডিআইজি মিজানের ভাগ্নেকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্যগোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমান জামিনের জন্য হাইকোর্টে হাজির হন।
২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে তাকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
ডিআইজি মিজান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
সম্প্রতি দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে এলে তড়িঘড়ি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠায়। মিজানের ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ অধিদফতর।
কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও নারী নির্যাতন, ঘুষ প্রদান, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে দুই বছর ধরে মিজানের নাম আলোচনায় এলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।