অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মশা মারতে কামানও ব্যর্থ!

0
.

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ, এটা কি বলার প্রয়োজন আছে, মশা তাড়াতে কামান নামিয়েও যেখানে কাজ হচ্ছে না। ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু কত ধরনের রোগের বাহক এই মশা। ছোট্ট এই মশার ‍অত্যাচারে বিরক্ত সবাই। কী করা যায়?

মশা মারতে আর কামান-দাগার দরকার পড়বে না। খুব সাধারণ কিছু পদ্ধতিই যথেষ্ট!

• মশার কয়েল থেকে যে ধোঁয়া বের হয় তাতে মশা তাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট, চোখের ক্ষতি ও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। তাই নির্ভর করতে হবে প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর।
• লেবু ও লবঙ্গ একটি লেবু মাঝ থেকে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না।

রসুনের তীব্র গন্ধ মশা তাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য কয়েকটি রসুনের কোয়া থেতলে পানিতে সেদ্ধ করতে হবে। ওই পানি সারা ঘরে স্প্রে করে দিলেই মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
• এছাড়াও রসুন, কাঁচা মরিচ, জিরা, নিমপাতা, কাঁচা হলুদ ভালো করে বেটে মিশিয়ে দিন। এবার তা সাদা সুতির কাপড়ে বেঁধে রেখে দিন।
• একটা বাটিতে একটু ডিটারজেন্ট পানি জানালার কাছে রেখেই দেখুন না, কী হয়। একটু পরেই মশাগুলো সব এসে ডিটারজেন্ট পানিতে পড়বে।
• বাড়ির আশপাশে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ও নর্দমা থাকলে মশা বেশি হবে। বাড়ির ভেতর ও বাইরে পরিষ্কার রাখুন। কোথাও পানি জমে থাকলে পরিষ্কার করুন।
• সন্ধ্যার আগেই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিন, রাতে ঘুমের সময় মশারি ব্যবহার করুন।
• এরপরও যদি স্প্রে ব্যবহার করতে চান, তবে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে স্প্রে করে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। স্প্রে করার সময় এবং পরপরই ঘরে শিশুদের থাকতে দেয়া যাবে না।