কুষ্টিয়ায় খৃষ্টান ধর্মীয় শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ
কুষ্টিয়াতে নিবন্ধন পরীক্ষা দিতে এসে প্রধান শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন মুজিবনগর আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন খৃষ্টান ধর্মীয় শিক্ষিকা লিপি মন্ডল (২৫)।
শুক্রবার সকালের দিকে কুষ্টিয়ার হাউজিং নিসান মোড় এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য পরীক্ষার্থী ওই খন্ডকালীন স্কুল শিক্ষিকা পরীক্ষা হলে না গিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানাযায়। এদিকে ধর্ষক প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম কুষ্টিয়া থেকেই পালিয়েছেন।
উক্ত শিক্ষিকা মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া খৃষ্টান ধর্মপল্লীর নির্মন মন্ডলের মেয়ে লিপি মন্ডল।
তিনি জানান, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় মুজিবনগর আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন ধর্মীয় শিক্ষক (খৃষ্টান) হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি অনার্স শেষে মাষ্টার্স করেন। নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ ছাড়ায় ৩ বছর চাকরী করেন।
চলতি বছরের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য বৃহস্পতিবার তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামের সাথে কুষ্টিয়া যান এবং সেখানে একটি বাড়িতে আলাদা আলাদা রুমে রাত্রি যাপন করেন। সকালে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণকালে প্রধান শিক্ষক তার রুমে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ওই সময় তার যৌনাঙ্গ দিয়ে পর্যাপ্ত রক্তক্ষরণ হলে তিনি পরীক্ষা হলে না গিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিকে লম্পট ওই ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দেন। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
এদিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত নার্স লাভলী ভবরপাড়া গ্রামের মেয়ে। তার দেয়া ভয়ভীতি ও পরামর্শে ধর্ষিতা লিপি মন্ডল শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে নিজ গ্রাম মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামে ফিরে আসেন। বাড়িতে এসে তিনি এসব ঘটনা তার স্বজনদের খুলে বলেন।
মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউপির ওয়ার্ড সদস্য ভবরপাড়া গ্রামের দিলীপ মন্ডল জানান, ধর্ষিতা লিপি মন্ডল তার আত্মীয়। তারা প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা করবেন। এছাড়া অসুস্থ্য লিপি মন্ডল আরো চিকিৎসার জন্য পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করবেন। তিনি আরো জানান- এঘটনা মুজিবনগর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে তিনি ধর্ষিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মামলা করলে কুষ্টিয়াতে করতে হবে। সেক্ষেত্রে ধর্ষিতার পরিবারকে তিনি সব ধরণের সহযোগিতা করবেন।
ধর্ষক শরিফুল ইসলাম ভবরপাড়া গ্রামের রহমান মোল্লা ওরফে ন্যাড়া মোল্লার ছেলে। তাকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।