অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নিখুঁত মেকআপের জন্য চাই প্রাইমার

0
.

সংগৃহীত ছবি

মেকআপ করার আগে অনেকেই প্রাইমার ব্যবহার করা বেশ সময়সাধ্য এবং অপ্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার বলে মনে করেন। কিন্তু এটি আপনার বিউটি রুটিনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অনুষঙ্গ।

আমাদের ত্বককে যদি একটি ক্যানভাস কল্পনা করা হয় তাহলে সেটিকে নিখুঁতভাবে তৈরি করার কাজটি করে প্রাইমার। আসুন এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই-

মেকআপের জন্যে নিখুঁত বেজ তৈরি করে
ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে প্রাইমার লাগিয়েই দেখুন, ফলাফল নিজ চোখে দেখতে পাবেন। মুখের যেকোন বড় রোমকূপ, লালচে ভাব এবং খুঁত ঢেকে দেয় প্রাইমার। এতে আপনি পান মেকআপের সুন্দর একটি বেজ। প্রাইমারের প্রধান উপাদান হলো ‘সিলিকন’ যেটি মুখে একটি সিল্কি টেক্সচার এনে দেয়।

মুখের তৈলাক্তভাব কমায়
ত্বকে সরাসরি ফাউন্ডেশন দিলে কিছুক্ষণ পর বেশ তৈলাক্ত ভাব চলে আসে। এসময় খুব অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে প্রাইমার ভীষণভাবে সাহায্য করে। রূপচর্চার রুটিন শেষ করে প্রাইমার মুখে লাগান। এরপর ফাউন্ডেশন ও পাউডার দিয়ে মেকআপ সেট করে নিন। এতে আপনার মেকআপ দীর্ঘ সময় স্থায়ী হবে এবং সুন্দর দেখাবে।

মুখের লালচে ভাব দূর করে
মুখে ব্রণের দাগ, গর্ত কিংবা লালচে ভাব থাকলে সেটি দূর করবে প্রাইমার। টিন্টেড প্রাইমার ব্যবহার করুন যেটি একইসঙ্গে ত্বকের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে। সবুজ এবং হলুদ আভাযুক্ত প্রাইমার মুখের লালচে দাগ কমায়, অন্যদিনে পীচ এবং ল্যাভেন্ডার শেডের প্রাইমার মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

ফাউন্ডেশন দীর্ঘস্থায়ী করে
ফাউন্ডেশনকে দীর্ঘস্থায়ী করার কাজ করে প্রাইমার। আপনার মুখ স্বাভাবিক রেখেই পরবর্তী মেকআপের জন্যে প্রাইমার একটি অনন্য বেজ তৈরি করে দেবে। আপনাকে আর লাঞ্চের সময় চটজলদি টাচ-আপ করতে হবে না।

শুষ্ক ত্বকের জন্যে আশীর্বাদস্বরূপ
প্রাইমার তৈলাক্ত ত্বক থেকে শুরু করে শুষ্ক ত্বকের জন্যেও দারুণভাবে কাজ করে। এতে উপস্থিত আছে হাইলোরনিক এসিড এবং গ্লিসারিন যা ত্বকে নমনীয়তা যোগ করে ত্বককে স্বাস্থ্যেজ্জ্বল করে তোলে। আপনার ত্বক ড্যামেজড কিংবা বলিরেখাপূর্ণ হলে ময়েশ্চারাইজিং প্রাইমার ব্যবহার করুন।