অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সকালের সাত বদভ্যাস ছেড়ে দিন এখনই

0
.

সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মনোযোগ থাকে কখন তৈরি হবো আর ঘর থেকে বের হবো, সেদিকে। এমন তাড়াহুড়োর মাঝে আমরা নিজেদের যত্ন নিতে দিব্যি ভুলে যাই। সকালের কিছু বদভ্যাস আমাদের সারাদিনের জন্য নিস্তেজ করে রাখে। চলুন সেগুলো জেনে আসি এবং যত দ্রুত সম্ভব এড়িয়ে চলি।

স্নুজ বাটনে চাপ কিংবা অ্যালার্ম পিছিয়ে দেওয়া
আমরা সাধারণত নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ফোনে কিংবা ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখি। এটা ভালো অভ্যাস কিন্তু খারাপ তখনই হয়ে দাঁড়ায়, যখন আমরা অ্যালার্ম বন্ধ করে পুনরায় ঘুমিয়ে পড়ি কিংবা অ্যালার্ম একটু পিছিয়ে দেই। এ অভ্যাস দূর করতে হবে যতদ্রুত সম্ভব।

প্রাতঃরাশ না করা
বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে প্রাতঃরাশ আমাদের আভ্যন্তরীণ শক্তি ও সামর্থ্য বৃদ্ধি করে থাকে। শুধু তাই নয়, এটা অনেকক্ষণ পেটে থেকে আমাদের ক্ষুধামন্দা দূর করে। মনমতো নাস্তা করতে ভারী কোনো খাবার প্রয়োজন নেই। শুধু খেয়াল রাখবেন পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ, সবজি ও ডিম থাকছে কিনা খাদ্য তালিকায়।

জানালার পর্দা না সরিয়েই তৈরি হওয়া
ঘুম থেকে উঠেই জানালার পর্দা সরিয়ে দিন যেন প্রাকৃতিক আলো ঘরে প্রবেশ করতে পারে। সকালে কী পরবেন, তা আগের রাতেই ঠিক করে রাখুন। সকালে উঠে ধীরে-সুস্থে সময় নিয়ে তৈরি হোন।

কফি-নির্ভর হয়ে পড়া
ঘুম থেকে উঠেই এক কাপ উষ্ণ কফির কাপে চুমুক দিতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু আপনি যেন কোনভাবেই কফির উপর নির্ভরশীল না হয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে যদি অতিরিক্ত দুর্বল লাগে আপনার তাহলে রাতে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়ুন। ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করুন কিংবা ভালোমতো নাস্তা করুন। এতে ক্লান্তি কিছুটা হলেও কমবে।

শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া
ঘুম থেকে উঠে কী করবেন সে সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই সকালে নেবেন না। এতে করে আপনার সময় ও শক্তি দুই-ই অপচয় হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বেই সবকিছু ভেবে রাখুন এবং হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন যেন সকালে কোনোভাবে সময়ের অপচয় না হয়।

ঘুম থেকে উঠেই ফোন নিয়ে বসা
মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু তাই বলে ঘুম থেকে উঠেই যেন ফোন নিয়ে না বসে পড়ি আমরা। এতে করে আমাদের সতেজ মনের সম্পূর্ণ মনোযোগ ফোনের প্রতিই ব্যয় করা হবে। দিনের কাজ শুরুর পর ফোন দেখা যেতে পারে।

নেতিবাচক চিন্তা করা
সকালের সময়টাই শুভ্রতা ও ভালোলাগার। এ সময় কোন নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা যেন মনে ভর না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সব সময় ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করুন। সারাদিন আপনাআপনিই ভালো কাটবে।