অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সালমান খান আবারও জেলে যেতে পারেন

0
.

বিতর্ক, জেল-জরিমানা যেন পিছু ছাড়ছে না বলি ভাইজান সালমান খানের। কখনও শুটিং সেটের ঝামেলায়, কখনও সিনেমার কাহিনী নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে যান তিনি।

অবশ্য সব সমালোচনা ও বিতর্ককে সামাল দিয়ে ভারতের রুপালি পর্দা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই অভিনেতা। যদিও ১৯৯৮ সালের একটি ঘটনার জেরে জেল-জরিমানা এখনও পিছু ছাড়ছে না তার।

এবার সেই অপরাধের জেরে আবার কারাগারের চার দেয়ালে আবদ্ধ হতে পারেন সালমান। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।

কৃষ্ণসার নামের বিরল প্রজাতির হরিণ হত্যা মামলায় আবার জেলে যেতে পারেন সালমান, এমন সতর্কবার্তাই দিল দেশটির জেলা দায়রা আদালত।

২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় সালমানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে যোধপুর সেন্ট্রাল জেল। ওই মামলায় জামিনে মুক্ত ছিলেন তিনি।

আর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ছিল এই মামলার শুনানি। অথচ সেদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না সালমান। শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকবেন কারণ দেখিয়ে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আবেদন করেছিলেন সালমান। তবে তার সেই আবেদন আদালত আমলে নেননি।

আদালতের নিদের্শ সত্ত্বেও মামলার শুনানির দিন উপস্থিত না থাকায় বেশ বিরক্ত হন বিচারক চন্দ্রকুমার সোনগারা এবং সরকার পক্ষের আইনজীবী মহিপাল বিষ্ণ।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। আর সেদিনও যদি সালমান খান উপস্থিত না থাকেন তবে কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় তার জামিন খারিজ হয়ে যেতে পারে বলে জানান বিচারক।

এবিষয়ে সালমানের আইনজীবী এইচ এম সরস্বত বলেন, ‘শুটিং থেকে সময় বের করতে না পারার কারণে আদালতে আসতে পারেননি সালমান। আদালত সালমানকে নির্দেশ দিয়েছে পরবর্তী শুনানিতে উপস্থিত থাকতে। দালতের এই নির্দেশকে অবশ্যই সম্মান করবেন সালমান খান।’

প্রসঙ্গত ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের জন্য যোধপুর গিয়েছিলেন সালমান খান, সাইফ আলি খান, টাবু, নীলম এবং সোনালি বেন্দ্রে। সেই সময় এক নাইট সাফারিতে গিয়ে সালমান দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে করা মামলায় আর সবাই বেকসুর খালাস হলেও প্রধান আসামি সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে যোধপুর সেন্ট্রাল জেল।

সে সময় জামিন পাওয়ার আগে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে দুই রাত কাটাতে হয় বলি ভাইজানকে।