অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দোজখের ভয় দেখিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ করেন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক!

14
.

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে একটি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার হওয়ার পরদিন একই অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন নেত্রকোনার আরেক মাদরাসার প্রধান শিক্ষক।

গ্রেফতার শিক্ষকের নাম মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী। তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়ার আঠারবাড়ি এলাকার মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক বা মুহতামিম।

এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সব অভিযোগ এনেছে ওই মাদরাসায় অধ্যয়নরত আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হাত-পা টেপানোর নাম করে শিশু শিক্ষার্থীদের নিজের কক্ষে ডেকে নিতেন তিনি। এক পর্যায়ে ওই শিশুদের ধর্ষণ করতেন এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে তাদের পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁইয়ে শপথও করাতেন।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়ার দেওয়া এক ফেসবুক পোস্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এডিশনাল এসপি ক্রাইম নেত্রকোনা নামের ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া। তিনি জানান, মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদরাসাটিতে শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ জন। এদের মধ্যে ১৫ জন আবাসিক শিক্ষার্থী। মাদরাসাটির একটি কক্ষেই থাকেন এর প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের বেলালী।

এই প্রধান শিক্ষকের ঘরে রয়েছে একটি কলিংবেল। সুযোগ বুঝে দিনের যে কোনো সময় তিনি ওই কলিং বেল বাজান। এর মাধ্যমে নিজের কক্ষে হাত-পা টেপানোর জন্য ডেকে নেন পছন্দমতো কোনো ছাত্রীকে। যারা বয়সে সবাই শিশু। এরপর সেই শিশু শিক্ষার্থীকেই ধর্ষণ করেন তিনি। সবশেষে পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁইয়ে ওই ছাত্রীদের শপথ করার যেন তারা এই ঘটনা কাউকে না বলে। কাউকে বলে দিলে আল্লাহ তাদের দোজখের আগুনে পোড়াবেন।

ফলে দোজখের আগুনে পোড়ার ভয়ে শিশুরা কাউকেই কিছুই জানায় না। আর এভাবেই দিনের পর দিন আবুল খায়ের বেলালী ছাত্রীদেতর ধর্ষণ করে আসছেন।

কিন্তু শুক্রবার (৬ জুলাই) আর শেষ রক্ষা হয়নি। প্রধান শিক্ষকের অত্যাচারে অতিষ্ট এক শিক্ষার্থী তার বাড়ির লোকজনদের বিষয়টি বলে দেয়। এরপর এলাকাবাসী আটক করে ওই শিক্ষককে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। থানায় তার বিরুদ্ধে দুইটি ধর্ষণের মামলা হয়। জমা পড়ে প্রথম শ্রেণির আরও এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ।

থানায় শুরু হয় আবুল খায়ের বেলালীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অন্তত ছয় ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নেন যাদের বয়স আট থেকে ১১ বছর। মাদরাসায় তার কক্ষ থেকে কলিং বেলটিও জব্দ করা হয়। আরও তথ্যের জন্য এই শিক্ষকের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী সিলেট বালুরচর কওমি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাস করেছেন। এরপর ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এই মাদরাসা। সেখানে নিজেই প্রধান শিক্ষক হয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

১৪ মন্তব্য
  1. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন

    কেমনে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে?
    নাউজুবিল্লাহ

  2. Abdul Kalam বলেছেন

    কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।।।

  3. MJ Emon Chy বলেছেন

    সালার পাঁসি চাই

  4. Md Mokther Hossen বলেছেন

    ওরে জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে জনতার সামনে এনি দিয়ে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হোক

  5. Mofejul Islam বলেছেন

    শু…….একটা

  6. গুরু ভাই বলেছেন

    আমাদের সাধারণ মানুষের দাবি। রিমান্ডে শিক্ষক এর জন্য সিদ্ধ ডিম বরাদ্দ থাকবে।

  7. মেঘ বালিকা বলেছেন

    ওদেরকে এমন ওষুধ খাওয়ানো উচিত যে সারাজীবন চোখের সামনে নারী দেখবে কিন্তু কোন বাসনা হবে না

  8. Maksudul Mumin বলেছেন

    এই খবরটা বিভিন্ন জায়গার কথা বলা হচ্ছে।সিলেট,নেত্রকোনা,এখন আবার ফতুল্লা।।।সঠিক কোনটা

  9. Maksudul Mumin বলেছেন

    নাকি পুরাটাই গুযব

  10. Azizul Islam বলেছেন

    কোন কথা হবেনা,এর সবার সামনে ক্রস দেওয়া উচিত,

  11. Manna Mazumder বলেছেন

    হায়রে বেজন্মা তোর কি ঐ ভয়টুকুও নেই???????

  12. Rodrotonu Rt বলেছেন

    হায় ভগবান এ কোন দেষে বসবাস করছি। নিস্পাপ শিশু ও কি এখানে নিরাপদ নয়।

  13. মি বিশ্বাস বলেছেন

    আর কত????প্রধানমন্ত্রী কি খবর বা পত্রিকা পড়ে না?এই অন্যায়ের কি কোন রকম প্রতিবাদ হবে না।

  14. মি বিশ্বাস বলেছেন

    কাউকে বিশ্বাস করার সুযোগ নেই সে হুজুর হোক বা মজুর হোক মাষ্টার হোক বা খালু হোক
    সবাইকে সচেতন থাকতে হবে আপনার মেয়ে/ছেলে মাদ্রাসা/ স্কুল /কলেজ/ মক্তব/ মন্দির/ কোচিং/ প্রাইভেট থেকে বাড়িতে বা বাসায় আসার পরে সকল গার্ডিয়ান বিশেষভাবে মা সন্তানকে জিজ্ঞেস করতে হবে কিছু ঘটেছে কিনা??? বাধ্যতামূলক…