অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চেনা কিশমিশের ৭ টি অজানা পুষ্টি গুণ!

0
.

‘কিশমিশ’ কেক, বিস্কুট বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা হয়। প্রায় সব মানুষই কম বেশি কিশমিশ পছন্দ করে থাকে। আবার অনেক মানুষ কিশমিশ একদম পছন্দ করে না। কিন্তু আপনি কি জানেন কিশমিশের কত গুণ। ভিটামিন সি, বি, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে একটি কিশমিশ! প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার আছে কিছু স্বাস্থ্যগত উপকার।

১০০ গ্রাম কিশমিশে এই উপাদানগুলো পাওয়া যায়।

১. কার্বোহাইড্রেটেড ৭৯ গ্রাম
২. ক্যালসিয়াম ৫০ গ্রাম
৩. ফাইবার ৪ গ্রাম
৪. এ্যানারজি ২২৯ কিলোগ্রাম
৫. ফ্যাট .৫ গ্রাম
৬. আয়রন ১.৮৮ মিলিগ্রাম
৭. প্রোটিন ৩ গ্রাম
৮. পটাশিয়াম ৭৫০ মিলিগ্রাম
৯. সোডিয়াম ১১ মিলিগ্রাম
১০. চিনি ৫৯ গ্রাম

১। রক্ত স্বল্পতা দূর করে
যারা রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন একটি নিদিষ্ট পরিমাণে কিশমিশ খেতে পারেন। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, এবং ভিটামিন বি আছে যা রক্ত স্বল্পতা দূর করে থাকে।

২। হজমে সাহায্য করে
কিশমিশে ফাইবার আছে যা খাবার হজম করে দেহে ল্যাক্সাটিভ উৎপন্ন করে থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে থাকে। কিশমিশ দেহের বিষাক্ত উপাদান বের করতে সাহায্য করে থাকে।

৩। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
কালো কিশমিশ কোলেস্টেরল ফ্রি। এটি দেহে থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বের করে দেয়।

৪। দেহে পুষ্টির যোগান দেয়
কিশমিশ একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে আয়রন, মিনারেল আছে যা কোষে অক্সিজেনের প্রবাহ সচল রাখে। প্রতিদিন একজন মানুষের পুরুষের ৮ মিলিগ্রাম এবং ৫০ বছর বয়সের বড় মহিলার ১৮ গ্রাম আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। এই চাহিদা পূরন করে থাকে সক্ষম কিশমিশ।

৫। অ্যাসিডিটি হ্রাস করে থাকে
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটিঅ্যাসিডিটি রোধ করে কিডনি সুস্থ রাখে। এমনকি এটি হার্ট অ্যাটাক, গিঁটবাত, কিডনি পাথরও দূর করতে অনেক কার্যকরী।

৬। চোখের জন্য
কিশমিশে পলিফেনোলিক পাইটোনিউটিয়াট আছে যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে ম্যাকিউলার রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। তাই বাচ্চাদের প্রতিদিন কিশমিশ খেতে দেওয়া উচিত।

৭। দাঁতের যত্ন
কিশমিশে ওলিনোলিক অ্যাসিড আছে যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে ক্যাভিটি প্রতিরোধ করে থাকে। আর ক্যালসিয়াম দাঁত মজবুত করে থাকে।