অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বাড়তি কোলেস্টেরলকে বিদায়

0
.

বাংলাদেশে ডায়াবেটিস, স্থুলতা, হৃদরোগ , ক্যান্সার, হাইপারটেনশন ইত্যাদি রোগ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এসব রোগের সঙ্গে একটি বড় সম্পর্ক রয়েছে কোলেস্টেরলের। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের সুস্থতা-অসুস্থতা। পরিমিত মাত্রায় কোলেস্টেরল আমাদের জন্য প্রয়োজন, তবে মাত্রা বেড়ে গেলেই বিপদ।

রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে নিয়ন্ত্রিত ওজন, এজন্য প্রয়োজন পরিমিত খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে যা খাবেন:

• ওটস বা যব’য়ের স্বাস্থ্যগুণের গোপন উৎস দ্রবণীয় আঁশ, যা কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে ধুয়ে বের করে দেয়। আড়াইশ গ্রাম দুধে ৩৫ গ্রাম ওটস দিয়ে তিন মিনিট রান্না করে নিয়ে সহজেই সারতে পারেন সকালের নাস্তা।

• বিশেষ করে গরুর মাংস না খাওয়ার কথা বলা হয়। তবে কখনো একটু ইচ্ছে হলে দুই এক পিস খেতে পারেন। মাংস খাওয়ার পর টক দই খেয়ে নিন।

• ঘি, ডালডা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়, এর পরিবর্তে রান্নায় ভেজিটেবল ওয়েল, অলিভ বা সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করুন।

• কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খাদ্য তালিকায় পালং শাক রাখুন

• প্রতিদিন একমুঠ পরিমাণ চিনাবাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম যেকোনোটি খেতে পারেন

• নিয়মিত আমলকির জুস খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।

• গ্রিন টি আমাদের শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের ওজন ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

• এছাড়াও লাল আটার তৈরি রুটি, রসুন, মেথি, সিম, বিভিন্ন ডাল খাবারে রাখুন।

• ডুবু তেলে ভাজা বাইরের মুখরোচক খাবার না খেয়ে টাটকা দেশি ফল খান

• ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ খেলেও উপকার পাবেন।

ব্যায়াম:
আধাঘণ্টা করে ফ্রিহ্যান্ড এক্সসারসাইজ, হাঁটা-দৌঁড়ানো-সাইকেল চালানো-সাতার কাঁটা
যেটা করতে ভালো লাগে সপ্তাহে ৫দিন করুন।

রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ জানতে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।