অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

0
.

বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রতিবেদন (২০১৬-১৭) অনুযায়ী দেশে শিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার জন বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। তিনি জানান, এর মধ্যে শিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিতের (যাদের বয়স ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব) সংখ্যা ২৩ লাখ ৭৭ হাজার জন এবং অশিক্ষিত বেকার রয়েছে তিন লাখ।’

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুসারে, শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী তিন লাখ অশিক্ষিত বেকারের মধ্যে এক লাখ ২৬ হাজার পুরুষ এবং এক লাখ ৭৩ হাজার নারী। শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষিত চার লাখ ২৮ হাজার তম্মধ্যে পুরুষ দুই লাখ দুই হাজার এবং নারী দুই লাখ ২৬ হাজার, মাধ্যমিক শিক্ষিত আট লাখ ৯৭ হাজার। তম্মধ্যে পুরুষ চার লাখ ২২ হাজার এবং নারী চার লাখ ৭৪ হাজার। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষিত বেকার ছয় লাখ ৩৮ হাজার তম্মধ্যে পুরুষ তিন লাখ ৫৩ হাজার এবং নারী দুই লাখ ৮৫ হাজার, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় বেকার চার লাখ পাঁচ হাজার। তম্মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৩৪ হাজার এবং নারী এক লাখ ৭১ হাজার এবং অন্যান্য পুরুষ নয় জন।

সংরক্ষিত নারী এমপি বেগম হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০০৫-০৬ সালে দেশে কর্মে নিযুক্ত জনসংখ্যা ছিল চার কোটি ৭৪ লাখ। বর্তমানে অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি আট লাখ। এ সময়ে দেশে প্রায় দুই কোটি লোকের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫৮ দশমিক দুই শতাংশ। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশিরভাগ কৃষির সঙ্গে সম্পৃত্ত। যার পরিমাণ ৪০ দশমিক ছয় শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত লেবার ফোর্স সার্ভে, ২০১৬-১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বেকারের হার মোট শ্রমশক্তির চার দশমিক দুই শতাংশ।

মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণের উদ্দেশ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় কর্মসংস্থান নীতি প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে।

বেগম রত্মা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষের আইনানুগ অধিকার বাস্তবায়ন, কমপ্লায়েন্স ও পারস্পরিক সম্পর্কের আইনগত ভিত্তি সুদৃঢ় করা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে; যার মধ্যে শ্রম আইন প্রণয়ন ও সংশোধন, শ্রম পরিদর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও শ্রম বিধিমালা প্রনয়ণ।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশের বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য সুবিধার মাধ্যমে স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’

মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে গৃহকর্মীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণের বিষয়ে এ মুহূর্তে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে পূর্ণকালীন গৃহকর্মীর মজুরি উভয়পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করার পরামর্শ রয়েছে।’