অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাটহাজারীর পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের বর্জে দুষিত হচ্ছে হালদা

0
.

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের বর্জে দুষিত হচ্ছে দেশের একমাত্র মৎস প্রজনন নদী হালদা। পাওয়ার প্ল্যান্টের পোড়া ফার্নেন্স অয়েলের বর্জ গুলো মরা ছড়া হয়ে হালদায় গিয়ে পড়ছে। গত তিনদিনের টানা বর্ষনের বৃষ্টির পানির স্রোতের সাথে আরো দ্রুত গতিতে এসব বর্জ হালদায় গিয়ে পড়ছে।

হাটহাজারী উপজেলার ১১ মাইল এলাকায় অবস্থিত পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের বর্জ্য হালদায় ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য উপজেলা প্রশাসনের নজরে পড়ে।

পাওয়ার প্ল্যান্টের বর্জে হালদা দূষনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরিদর্শনের সময় ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আগামী ১৭ জুলাই পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষকে পরিবেশ অধিদপ্তের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা অফিসের পরিদর্শক মো.মাঈদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সোমবার (৮ জুলাই) সকালে পাওয়ার প্লান্টের বর্জ্য ও পোড়া ফার্নেস অয়েল হালদায় পড়ার দৃশ্য স্বচক্ষে অবলোকন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের সত্যতা পান এবং এর স্থিরচিত্র ধারন করেন ।

.

এদিকে পরিদর্শন শেষে ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, আমি বিদ্যুৎ চাই, হালদাও চাই। এভাবে হালদা দূষণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হালদাকে শেষ করে দিবে। তাদের ইটিপি বানানোর কথা থাকলেও করেনি। বৃষ্টি মানেই হালদায় বর্জ্য ফেলে দেওয়া।

তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হালদায় পোড়া ফার্নেস ওয়েল ছেড়ে দিলে ইউএনও একা ঠেকাতে পারবে না। ইটিপি বাস্তবায়ন করে হালদার প্রতি দরদী হতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর কে লিখিতভাবে জানানো হবে জানিয়ে আরও বলেন, এ রকম নির্বিকার হবার সুযোগ নেই। বিদ্যুৎ ও হালদা দুইটাই চাই।

জানা যায়, স্থানীয় এবং সরকারের দীর্ঘদিনের দাবি হালদা দূষণমুক্ত করা। বিভিন্ন বর্জ্য ও ফার্নেস অয়েলের ফলে হালদার পরিবেশ রক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন এ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও তেমন ফলপ্রসূ হয়নি তাদের আন্দোলন। তবে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন যোগদানের পর থেকে হালদার পরিবর্তন হয়েছে অনেকখানি। একেরপর এক অভিযানের ফলে অনেকে প্রত্যক্ষভাবে পিছু হটলেও ১১ মাইলে অবস্থিত পিকিং পাওয়ার প্লান্টের ফার্নেস অয়েল অতি বর্ষণের সময় পানির স্রোতে ছেড়ে দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। এ নিয়ে তাদের বার বার তাগাদা দিলেও কর্ণপাত করেনি।