অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খালেদা জিয়া রাজনীতির জন্য হুমকি স্বরূপ: তথ্যমন্ত্রী

2
.

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজনীতির জন্য হুমকি স্বরূপ বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘রাজনীতি হলো জনগণের কল্যাণের জন্য, জনগণকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। অথচ রাজনীতির কথা বলে তারা (বিএনপি) দিনের পর দিন অবরোধ ডেকে মানুষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আরও বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে বা সমসাময়িক ইতিহাসে রাজনীতিতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। যেখানে জাতিগত দাঙ্গা, সেখানে হয়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে হয়নি।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) সম্পাদক মাহফুজুর রহমানের ‘সাংবাদিকতা রাত-বিরাতে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

‘খালেদার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র অচল’ বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকালও সংসদীয় কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। সেখানে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা সংখ্যায় কম হলেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান দেয়া হয়েছে। উল্লেখিত সদস্যরা সরকার দলীয় সদস্যদের তুলনায় সংসদে কথা বলার জন্য বেশি সময় দেয়া হয়েছে। তারা এখন অনেক বেশি সময় নিয়ে সংসদে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি সমালোচনা পথ চলাকে শাণিত করে। সমালোচনা দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। আর দায়িত্বে থাকলে পৃথিবীর কোনো সরকার শতভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও কোনো সরকার পারবে না।

‘এজন্য আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করি এবং যুক্তি ও তর্কের মাধ্যমে সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। যেটিতে খালেদা বিশ্বাস করে না,’ যোগ করেন তিনি।

সরকার দলীয় লোকজন জনগণের টাকা নিয়ে যাচ্ছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, তাই যদি হতো তাহলে গত ১০ বছরে বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত হত না। দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে এবং বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। স্বল্প উন্নত থেকে উন্নয়শীল দেশ হয়েছে।

‘আসলে এই যে উন্নয়ন, যারা আমাদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করে তাদের ব্যর্থতা। কারণ তারা উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলবো আয়নায় নিজের চেহারা দেখার জন্য। যে কথাগুলো আপনি বলেছেন, তা আসলে অপনাদের বেলায় প্রযোজ্য।

২ মন্তব্য
  1. S M Farukhi Azam বলেছেন

    আমি করো পক্ষে না, তবে সত্যিটা হচ্ছে আগে আওয়ামীলীগ তথা ১৪ দল ১৯৯২ থেকে ৯৬ আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত নিজেদের চেহারা একটু দেখেন আয়নায়। আহারে জনগনের প্রেমিক হয়ছে। বাংলাদেশের রাজনীতী মানেই ভন্ডামি, প্রতারক, ধোকাবাজ।

  2. Emon Ismail বলেছেন

    চাড়ালের বাচ্চা তোর নিজের চিন্তা কর