অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বোয়ালখালীতে পাহাড়ী ঢলে ভিটেহারা ১০ পরিবার

0
.

জেলার বোয়ালখালীতে পাহাড়ি পানির ঢলে খালের ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছেন ১০ পরিবার। ভাঙনে বসতঘর, ফসলিজমি, গাছপালা তলিয়ে গেছে খালে গর্ভে। ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ৭পরিবারের বসতঘর।

গত ৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা ভাণ্ডালজুরি খালে পাহাড়ি পানির ঢল নামে। প্রবল স্রোতে তীব্র হয়ে ওঠে খালের ভাঙন।

.

বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) ভাণ্ডালজুরি খালে গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের লামার পাড়ার দিপংকর বড়ুয়া, মোজাফ্ফর মিয়া, কামাল উদ্দীন, ছমুদা খাতুনের ভিটেমাটিসহ বসতঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বছরখানেক আগে ভাণ্ডালজুরি খালে ওপর ৩কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জ্যৈষ্ঠপুরা-গুচ্ছগ্রাম সড়ক সেতু।

এর আগে গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে একই এলাকার জেসমিন আক্তার, রোশা আক্তার, শাহিদা আক্তার, জলিল বক্স, সেকান্দর মিয়া ও উজ্জ্বল বড়ুয়ার ভিটেমাটিসহ বসতঘর ভাণ্ডালজুড়ি খালে ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।

.

স্থানীয়রা জানান, ভাঙনে গৃহহারা পরিবারগুলো সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহযোগিতা এখনো পর্যন্ত পায়নি। উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যরা এই বর্ষায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

স্থানীয় মো. ইউনুছ আজম খোকন বলেন, একের পর এক বসতঘর খালে ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে। ভিটেমাটি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে অসহায় পরিবারগুলো। তাদের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বৃত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম বলেন, গত ৫দিনে খালের ভাঙনে ১০টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে গেছে। ভয়ানক রূপ নিয়েছে ভাণ্ডালজুরি খালের প্রবল স্রোত। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ৭-৮টি পরিবার। গৃহহারা পরিবারগুলোকে পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু সাধ্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।