অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

টানা বর্ষণে নগরীর জনজীবন বিপর্যস্ত

1
.

চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণ চলছে। ফলে আজ শনিবার সকাল থেকে টানা বুষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের জনজীবন। ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকা। বাসা-বাড়ী ও দোকানে পাটে পানি উঠায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তেরণে কাজ করছে সেনা বাহিনীর একাধিক টিম।

জানাগেছে, নগরীর অধিকাংশ সড়ক পানির নীচে তলিয়ে যাওয়া যানবাহন শূন্য হয়ে পড়েছে নগরী। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারছেনা মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বেশি বিপাকে পড়ে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও খেটে খাওয়া দিনমজুর।

অতিমাত্রায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়া, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট,জিউসি,কতালগঞ্জ,খুলশীসহ প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা ১২ পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

.

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান জানান, চলমান বৃষ্টি আরো দুই.তিন দিন স্থায়ী হতে পারে। মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্র এবং ভারী ও অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে নগরীতে জলবদ্ধতা দুর করতে পানি নিষ্কাশনে নেমেছে সেনা বাহিনীর ৪টি টিম। তারা সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জমে যাওয়া পানি দ্রুত অপসারণের চেষ্টা করছেন।
নগরীর প্রবর্তক মোড়-কাপাসগোলাতে ১টি, জিইসি-দু’নম্বর গেট এলাকায় ১টি এবং মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটে ১টি করে টিম কাজ করছে।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর সাথে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সকাল থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হলে আমাদের ৪টি টিমের ৪০ জন সদস্য জলবদ্ধতা কমানোর কাজ করছে। তারা দ্রুত পানি সরানোর পাশাপাশি পরবর্তীতে কীভাবে কাজ করতে হবে এসব বিষয় দেখছে। ইতোমধ্যে এসব পয়েন্টে পানি জমার কারণ চিহ্নিত হয়েছে। পানি নেমে গেলে সে অনুযায়ী কাজ শুরু হবে।

.

এদিকে নগরীর ছাড়াও জেলার হাটহাজারী রাউজান রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া লোহাগাড়াসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা বন্যা পরিসস্থিতি দেখা দিয়েছে। বাড়ী ঘর ছেড়ে অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছে।

জেলার ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুইদিনে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা হল- ফটিকছড়ির ভুজপুরের নারায়াণহাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চাঁদপুরের অন্তর্গত নতুন পাড়ার মেকানিক বেলালের ছেলে মুহাম্মাদ ইমাম হোসাইন (৭) ও নাজিরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম পাড়া কাসেম গোমস্তার বাড়ী নিবাসী নুরুল আবছারের দ্বিতীয় পুত্র আদনান (১৬)।

এদিকে পটিয়ার পাহাড়ে লেবু বাগান পরিচর্যা করতে যাওয়ার সময় শ্রীমাই খালের পড়ে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছেন আব্দুন নবী ৫৫ নামে একজন। ৪ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ বলে জানান তার নিকট আত্মীয় মো. মহিউদ্দিন।

১ টি মন্তব্য