বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আন্দোলনের সুতিকাগার হচ্ছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে শুরু না হলে কোন আন্দোলনের সফলতা আসে না। ২০ জুলাই বিভাগীয় মহাসমাবেশের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মাটি থেকেই নবউদ্যেমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার আন্দোলনের সূচনা করা হবে। এই আন্দোলনে আমাদের জয়ী হতে হবে। দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্য্যালয়ের সম্মূখস্থ চত্বরে চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহের যৌথ উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আগামী ২০ জুলাই চট্টগ্রামে বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য এক বিশাল কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে হীরক রাজার শাসন চলছে। গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশন, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ, সংসদসহ সকল প্রতিষ্ঠান একদলীয়ভাবে সরকারের ইচ্ছায় পরিচালিত হচ্ছে। অতীতে ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্স ভর্র্তি করে জোর করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা দখল করত, আর এখন রাতের আধাঁরে ভোটের আগের দিন কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়। আমার নির্বাচনী এলাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে শতভাগ ভোট গ্রহণ দেখানো হয়েছে। তার মানে হচ্ছে কবর থেকে এসে অনেক মৃত ব্যক্তিও ভোট প্রদান করেছে।
নোমান বলেন, ২৯ ডিসেম্বর রাতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রহসনের নির্বাচন হিসেবে গ্রিনেজ বুকে স্থান পাবে। আর এটাই হচ্ছে আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় সফলতা।
নোমান আরো বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এই অবৈধ সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে কোন লাভ নেই। আন্দোলন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে মুক্ত করার শপথ নিতে হবে। তিনি ২০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য বিভাগীয় সমাবেশে চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারে যোগদান করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি, সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা গোলাম আকবর খোন্দকার।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম. নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আশারাফ উদ্দিন চৌধুরী, এস.কে খোদা তোতন, এডভোকেট সাত্তার সারোয়ার, যুগ্ন সম্পাদক কাজী বেলাল, আবদুল মান্নান, শাহ আলম, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাংগীর আলম দুলাল, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের যুগ্ন-সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপ্টি, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন জিয়া, মহানগর বিএনপির সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসাইন, আবদুল হালিম স্বপন, উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক ফরিদুল আলম, উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ জামাল, রামপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সরাইপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খাজা আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খাঁন, পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহেদ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজাদ, শুলকবহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী শামসুল আলম, সমাধাণ সম্পাদক হাসান ওসমান, নাসিরাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান, মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী প্রমুখ।
ইনশাআল্লাহ বীর চট্টলা থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন শুরু হবে।
চট্টগ্রামে সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বলা যায় না তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হবে কি হবে না।অনুমতি দেওয়া হোক কিংবা না দেওয়া হোক বিএনপি তাদের আন্দোলন কিংবা মহাসমাবেশে সফল করার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। অনুমতি না দেওয়া হলেও বিএনপির আন্দোলন করবে এটা দ্বারা আমরা বুঝতে পারি আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের হয়তো কোনো ধরনের সহিংসতা চালানোর ইচ্ছে আছে। তাই এই ধরনের সমাবেশগুলোতে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা না দেয় কিংবা করলে সহিংসতা করতে না পারে তারা সেই দিকে নজর রাখা উচিত।
আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যেত তাহলে এতদিনে খালেদা জিয়া জেলের বাইরে থাকতেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার কোন অপরাধ নেই এই ধরনের বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি বলেই এখন আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এমনটা ভাবছে।রিও আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না সেটি আমরা ভালো করেই জানি।
বিএনপি এক মাত্র দল যারা চোরের মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে চায় । খালেদা জিয়া একজন রাজাকারের দল জামায়াতের দালাল চোরের নেত্রী ও তিনি নিজেউ চোর | রাজাকারের দালাল চোর খালেদা জিয়ার আবার মুক্তি কিসের ? চোর খালেদা জিয়ার সাজা আরো বেশি হওয়া দরকার । এখন বোঝোক চোরির সাজা কেমন