অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কেমন মা ইনি!

0
.

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির রামগড়ের নিজের গর্ভজাত মেয়েকে ধর্ষনে স্বামীকে সহযোগিতার দায়ে মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকালের দিকে রামগড় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এদিকে ধর্ষনের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর চাচা মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় লম্পট পিতা মো. আবুল কাশেমকে ধর্ষনে সহযোগিতার জন্য মা মনোয়ারা বেগমকেও আসামী করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মনির হোসেন বলেন, পিতা মো. আবুল কাশেমকে গ্রেফতারে পুলিশী চেষ্টা অব্যাহত আছে।

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির রামগড়ে মায়ের সহযোগিতায় মাদরা পড়ুয়া নিজের ঔরশজাত মেয়েকে ধর্ষন করে পিতারূপী এক নরপশু। গেল ২ জুলাই রাতে জোরপূর্বক প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। এভাবে পিতার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় সে। পিতার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি পিতার যৌন লালসার শিকার ওই মেয়েটি।

সবশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাইবোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আবারও ধর্ষণ করতে গেলে সে তার সাথে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতে বলে। ধর্ষনের সময় সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরতো। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তাকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে ফেলারও ভয়ভীতি দেখাতো তার পিতা।

বিষয়টি প্রথমে দাদীকে জানালেও দাদী কোন প্রদক্ষেপ না নেয়ায় গত ১৪ জুলাই তার চাচা ওমর ফারুককে পিতার যৌন লালসার শিকারেরর কথা জানায় ওই ছাত্রী।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে গেলে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মেয়েটি একাধিকবার তার পিতার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে। এসময় তার মাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর দিনমজুর পাষান্ড পিতা পলাতক রয়েছে।