অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কেন এই আত্মহত্যা?

0
.

মৃত্যুর জন্য আত্মহত্যার চিন্তা কখনোই স্বাভাবিক হতে পারে না। মানুষ মাত্রই সুসময়ে বলে থাকে আমি মরতে চাই না, আবার দুঃসময়ে, আজই যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো।

সম্প্রতি বেশ কিছু দুঃখজনক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে স্বামীকে ভিডিও কল দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মডেল-অভিনেত্রী রিসিলা বিনতে ওয়াজির।

কিন্তু কেন মানুষ এই পথ বেছে নিচ্ছে তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, যন্ত্রণা, একাকীত্ব এবং হতাশা মানুষের মনকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। আর এই উদ্বিগ্নতা এক সময় মানুষকে অসহ্য করে তোলে। প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়, এ দীর্ঘ কষ্টের অবসান কোথায়?

আত্মহত্যাকেই তখন হয়তো উত্তর বলে মনে হয়? আত্মহত্যা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকার কারণ হলো বিষয়টি সব সময়ই রহস্যময়।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাস্তবতা হলো যারা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, মূলত তারা জীবন-যাপনের নানা যন্ত্রণা, দুঃখ, কষ্ট থেকে মুক্তি চান। যদিও তাদের বেছে নেওয়া পথটা ভুল!

কাল আবার লড়াই করতে হবে, নতুন অনেক বিষয়ের সঙ্গেও -এমন ভাবনা ব্যক্তিকে আরও উদ্বিগ্ন করে তোলে।

আত্মহত্যা করার পরে অনুভূতি কাজ করবে না এমন ধারণা, এই পথকে সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত করে তোলে মানুষের কাছে।

গবেষকরা বলছেন, যারা আত্মহত্যা করেন তাদের বাঁচার আকাঙ্ক্ষা আর দশজন সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। একই সঙ্গে জীবনযাত্রা নিয়েও থাকে তাদের সুপরিকল্পিত ভাবনা।

বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারা বলেন, এ ধরনের মানুষের চাহিদা সাধারণত কম হয়।

গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদি নিয়ে তারা মোটেই চিন্তিত নন। কেবল মাত্র তাদের ‌উৎসাহ দিয়ে লড়াই করার হারানো সাহস ফিরিয়ে আনতে পারলেই আত্মহত্যা রোধ করা সম্ভব।

আমাদের মধ্যে আরেকটি প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে, যারা আত্মহত্যা করেন তারা আগে কিছু বলেন না। মূলত প্রতিটি মানুষই আত্মহত্যা করার আগে কিছু আভাস দেন।

যে কারণে পরিবার এবং সমাজের প্রতিটি মানুষের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ- যোগ করেন গবেষকরা।