দেশে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে : মুক্তি পেতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন
মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে, তত্ত্বাবধায় সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে। সব মিলিয়ে দেশে আজ ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বন্দি করে আওয়ামী লীগ যে অন্যায় করেছে তা দেশের জনগণ কোনোদিনও মেনে নেবে না। এর জন্য জনগণের কাছে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এমন দেশে বাস করছি, যেখানে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। দিনে-দুপুরে আদালতের মধ্যেই কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এসবই হচ্ছে সরকারের মদদে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার দেশবিরোধী বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রিয়া সাহার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে। কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই সুযোগে তিনি ভিডিওবার্তায় বলেছেন, তার বক্তব্যই নাকি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। দেশবাসী জানতে চায়, আসলেই এটা প্রিয়া সাহার বক্তব্য না প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য।
‘এই সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে তা গরিব মারা বাজেট। বাজেটে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে গরিবকে আরও গরিব করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম খুলনার পাটকল শ্রমিকদের মজুরি কমিশনসহ অন্য দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান। অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, মসিউর রহমান, সৈয়দ মেহেদী আহামেদ রুমী, কবির মুরাদ, যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান খান বাবু, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-ধর্ম সম্পাদক অমলিন্দু অপু, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলিসহ খুলনা জেলাসহ বিভাগের দশ জেলার নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি ও জেলার সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান।
ফখরুল সাহেব এখন যে দুর্নীতিকে বর্তমান সরকার বন্দি করতে পেরেছে সেটা আপনাদের কথায় প্রমান হয়েছে । কারণ বর্তমানে আপনারা কোনো প্রকার দুর্নীতি করতে পারছেন না বলে এখন আন্দোলনে নেমেছেন । দেশের জনগন এখন কোনো দুর্নীতির দলের পাশে নেই । আপনারা যতই আন্দোলনে নামেন না কেন কোনো লাভই হবে না।
দেশের বর্তমান অবস্থা অনেক ভালোই আছে যেটা বিএনপির মত দলের সহ্য হচ্ছে না । তাই তো তারা এখন দেশে তাদের ইচ্ছে মত করে বেড়াচ্ছে । বিএনপির মত দল এখন যে কোনো প্রকার দুর্নীতির করতে পারছে না সেটার জন্যেই এখন তারা পাগলের মত আন্দোলন করা শুরু করে দিয়েছে । কারণ বিএনপি এখন বিলুপ্তের পথে ।
দেশের ভয়াবহ অবস্থা নাকি আপনাদের ভয়াবহ অবস্থা ? আপনারা যে এখন দেশটাকে দুর্নীতির করে ধ্বংস করতে পারছেন না তাই এখন উঠে পরে লেগেছে আন্দোলন করে দেশের শান্তি নষ্ট করতে । বিএনপির মত দল এখন যে একটা দিশেহারা দল সেটা দেশের জনগন ভালোই বুঝতে পারছে । দেশের জনগন বিএনপির মত দুর্নীতির দলকে এখন আর সমর্থন করে না।
বিএনপির আন্দোলন মানে দেশে নাশকতা সৃষ্টি।