অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“ঘরকাটা ইঁদুররা সব অর্জিত সাফল্য ম্লান করছে”- চট্টগ্রামে ইনু

0
.

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, বাংলাদেশকে সামনের দিকে আরেক ধাপ এগুতে হলে শক্তহাতে দলবাজী-গুণ্ডামী-লুটপাট-দুর্নীতি-মাদক কারবারী-শিশু ও নারী নির্যাতনকারীদের দমন করতে হবে। এসব সমস্যা উন্নয়নের সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে। তাই আজ সকল ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সব সমস্যা সমাধান সম্ভব।

তিনি শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার হলে মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদের উপদেষ্টা আবুল কাশেমের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইনু বলেন, আজকে ডেঙ্গু-গুজব সহ ছোটবড় সব সমস্যারই সমাধান সম্ভব সুশাসন নিশ্চিত করলে। কিন্তু আজ ঘরকাটা ইঁদুররা সব অর্জিত সাফল্য ম্লান করছে। তাই এই ঘরকাটা ইঁদুরদের দমন করতে সুশাসনের সংগ্রাম নিজ ঘর ও উপর থেকেই শুরু করতে হবে।

জাসদ উত্তর জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১৯ এ দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ করেছে। ২০০৮ থেকে ২০১৮, টানা দশ বছরের প্রথম পর্বে জঙ্গী-সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা দমন যুদ্ধে ছিল। জঙ্গী-সন্ত্রাস এখন কোণঠাসা এবং পিছু হটে গেছে। দশ বছরের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাও সাধিত হয়। এখন দ্বিতীয় পর্বে উন্নয়নের চমৎকার সাফল্য ধরে রাখা, ঘরে ঘরে সুফল পৌঁছানো এবং জঙ্গীবাদের পুনঃ উৎপাত আর না করতে দেয়া হচ্ছে মূল কর্তব্য।

দ্বিতীয় পর্বে আমরা নতুন আপদ হিসেবে দেখছি দলবাজী-গু-ামী-দুর্নীতি-লুটপাট-নারী-শিশু নির্যাতন মাদক কারবারীর দৌরাত্ম। তাই ২য় পর্বে সুশাসনের চুক্তি করা প্রধান কর্তব্য। এই জঙ্গী দমনের যুদ্ধের চাইতেও সুশাসনের সংগ্রাম কঠিন। মহাজোটের ছাতার তলে সুশাসন বিঘ্নকারীদের রাখা যাবে না। ঐক্যের শক্তি যেমন জঙ্গী দমনে সাফল্য দিয়েছে, তেমনি সুশাসনের সংগ্রামেও ঐক্যের শক্তি ও ঐক্যের ঢাল শক্ত হাতে ধরে রাখতে হবে। সুশাসনের জন্য, দল-মুখ না দেখে প্রধানমন্ত্রী হাতের শাসনদ-ের কঠোর ব্যবহার চাই।

সভায় প্রধান বক্তা জাসদ সাধারণ সম্পাদক জননেত্রী শিরীণ আখতার বলেন, আজকের সমাজের ভয়াবহ কালো মেঘের ছায়া সমাজকে এক গোমোট আবহাওয়ার ভেতর ফেলে দিচ্ছে, নারী নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ এমনকি মাদ্রাসার ছাত্রীদের উপর যৌন হয়রানী ও নির্যাতন ছেয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সারাদেশে গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা সাধারণ জনগণকে অস্থির করে তুলেছে। মুক্তিযুদ্ধের যে শক্তি সাফল্যের উপর জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দাঁড়িয়ে আছে সেখানে আবারো মুক্তিযুদ্ধের এই শক্তিকে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এক নতুন সামাজিক চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নুরুল আকতার, জাসদ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মাহফুজুর রহমান, ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম জিলানী চৌধুরী।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় নেতা তৈয়বুর রহমান, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, জাসদ মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, উত্তর জেলা জাসদ নেতা আহমদ হোসেন নিজামী, সীতাকুন্ড জাসদ সভাপতি ভিপি জহুর আহমদ, যুবজোট চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক মঈনুল আলম খান, শ্রমিক জোট নেতা বোধিপাল বড়–য়া, উত্তর জেলা জাসদের সহ-সভাপতি রুবিনা ইয়াসমিন, মরহুমের পুত্র ডাঃ মোঃ শাহেদুল করিম, নারীনেত্রী ফজলিন করিম, পারভীন আক্তার প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন উত্তর জেলা জাসদের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রিপন।