অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চলন্ত বাস ঢুকে গেল বাড়িতে, স্বামী স্ত্রী নিহত

0
rajshahi-road-1
রাজশাহীতে দ্রুত গতির চলন্তবাস ঢুকে পড়ে বাড়ির ভীতর।

রাজশাহীতে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। এ ঘটনায় এক ঘুমন্ত দম্পতি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে রাজশাহী নগরীর বহরমপুর সিটি বাইপাস রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে অক্ষত রয়েছে তাদের তিন শিশু সন্তান।

নিহতরা হলেন- বহরমপুর রেলক্রসিং এলাকার বশির হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী রেশমা বেগম (৩৫)।

বাসটির কিছু অংশ বশিরের পাশের বাড়িতেও ঢুকে পড়েছে। এতে দিপু মিয়া (৩৫) ও চম্পা বেগম (৩০) নামে আরও এক দম্পতি গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৬ বাসযাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরই বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।

রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমান উল্লাহ জানান, রাত দেড়টার দিকে কেয়া পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৭২৮৪) চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। এ সময় চালক ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বশিরের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বশির ও তার স্ত্রী নিহত হন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাসের নিচ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

বশির রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার স্ত্রী গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

দরিদ্র রিকশা চালক বশিরের বাড়িতে ঢুকে গেল আস্ত বাস। কেড়ে নিল বশির ও তার স্ত্রীর জীবন।

আবুল কালাম আজাদ নামের বাস যাত্রী জানান, দুর্ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ আগ থেকেই বাসের চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। কয়েকবার তাকে সতর্কও করেন যাত্রীরা। পরে বহরমপুর রেলক্রসিংয়ের বাঁকে বাঁক না নিয়ে চালক সরাসরি বাড়ির ভেতরে গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

রামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানান, দিপু মিয়া ও চম্পা বেগম ছাড়াও আরও ৬ বাসযাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন-মামুন (৩০), ফিরোজ (৪০), মানিক (৩১), এমদাদুল (৩৪), উত্তম (৫০) ও শরীফ (২৩)।

নিহত বশির হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী রেশমা বেগম (৩৫)।

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে সকালে এলাকাবাসী রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জ আন্তঃজেলা মহাসড়ক অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম। এসময় দোষী বাস চালককে গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।