অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ব্যর্থ সরকার ডেঙ্গু জ্বরকেও গুজব বলছে: বিএনপি

2
.

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ হয়েছে। আর এ কারণেই ডেঙ্গু জ্বরকে গুজব বলছে।

আজ রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।

রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ এই রাতের অন্ধকারের সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রলাপ বকছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় গুজব। সরকার ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ হয়ে ছেলেধরা গুজবের মতো ডেঙ্গু জ্বরকেও গুজব বলছে।’

‘ডেঙ্গুতে মানুষ মরছে, মরছে চিকিৎসক, মরছে শিশুসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা। এ পর্যন্ত সিভিল সার্জনসহ কয়েকজন ডাক্তার মারা গেছেন ডেঙ্গুতে। আর সরকারি দলের নেতাসহ মেয়ররা জনগণকে ধমক দিচ্ছেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার,’ যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী দাবি করেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে তাঁর জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ গুরুতর অসুস্থতার কথা জাতির সামনে বারবার তুলে ধরা হয়েছে, অথচ চিকিৎসা হয়েছে তাঁর ইচ্ছার বাইরে নামকাওয়াস্তে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সেখানে ২০ মিনিট বসিয়ে রেখে (খালেদা জিয়ার) কী চিকিৎসা করা হয়েছে, আমরা জানি না। কিন্তু গণমাধ্যমে আমরা খালেদা জিয়ার যে ছবি দেখেছি, সেটি ছিল তীব্র ব্যথায় যন্ত্রণাক্লিষ্ট মানুষকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি।’

‘চার দেয়ালের মধ্যে কারারুদ্ধ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে, এখন তাঁর অবস্থা জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের মধ্যে। ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে তাঁর নিয়ন্ত্রণহীন ব্লাড সুগার। জিহ্বার আলসারের কারণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, যা দিন দিন আরো গুরুতর হচ্ছে। ফলে তিনি কিছুই খেতে পারছেন না। আর্থ্রাইটিস ও ফ্রোজেন শোল্ডার সমস্যার কারণে স্বাস্থ্যের আরো গুরুতর অবনতি ঘটছে। ঘাড়-মাথা সোজা রাখতে পারছেন না। কয়েক বছর আগে অপারেশন করা চোখ এবং হাঁটুর ব্যাথা ক্রমশ বৃদ্ধির ফলে কষ্টে কাতরাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।’

রিজভী আরো বলেন, ‘গতকাল শনিবার দেশনেত্রীকে যখন পিজি হাসপাতালের কেবিন ব্লক থেকে হুইলচেয়ার থেকে নামিয়ে গাড়িতে তোলা হচ্ছিল, তখন দুজনে ধরেও তাঁকে দাঁড় করাতে পারেননি। কষ্টে কাতরাচ্ছিলেন তিনি। হুইলচেয়ারেও বসতে পারছিলেন না, কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন।

টেলিভিশনের পর্দায় দেশনেত্রীর এই ভয়ংকর অসুস্থতার দৃশ্য দেখার পর অশ্রুসিক্ত হয়েছেন অগণিত মানুষ। বিএসএমএমইউর পক্ষ থেকে সরকারি বার্তাই জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। বাস্তবে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তাঁর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন, কিন্তু সরকার সেটি অগ্রাহ্য করছে।’

২ মন্তব্য
  1. Faisal Ahmed বলেছেন

    সরকার ডেঙ্গু জ্বর কে গুজব বলে নি।সরকার ডেঙ্গু দমন করার কাজ হাতে নেয় নি বলে বিএনপি যেই অভিযোগ করেছেন, তাকেই গুজব বলা হচ্ছে।বর্তমানে সরকার ডেঙ্গু দমনে যতেষ্ট কাজ করছেন।কিন্তু ডেঙ্গু মারাত্মক আঁকার ধারণ করার পেছনে সাধারণ মানুষের ও অবহেলা আছে।সিটি কর্পোরেশন থেকে এত ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলার পরেও জনগণ তা মানছে না

  2. Abul Hasnat বলেছেন

    জনাব রিজভী সাহেব, আপনি এতদিন খালেদা মুক্তির জন্য মুখে সাংবাদিক সম্মেলন করে করে মুখে ফেনা তুলেছেন।আর এখন ডেঙ্গু নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছেন।এইসব নোংরা রাজ্রাজনীতি না করে আপনারা ডেঙ্গু মোকাবেলায় কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা একটু জানাবেন? সরকার খুব শিগ্রই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবেন যদি জনগণ একটু সচেতন থাকে এবং ডেঙ্গু দমনের সরকারের নির্দেশনা পালন করে