অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিল

1
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে পরিহাস করার চিরচেনা স্বভাব ছাড়তে পারেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কথায় আছে কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না, আওয়ামী লীগের নেতাদের অবস্থাও তাই। মানুষের প্রত্যাশা ছিল সুস্থ হয়ে ফিরে জনগণের পাশে দাঁড়াবেন, কিন্তু মানুষের দুর্ভোগ নিয়েও পরিহাস করার চিরচেনা স্বভাব তিনি ছাড়তে পারেননি। তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সহ সরকারের মন্ত্রীরা দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে উপহাস ও অহমিকা প্রকাশ করছেন।

অন্যায়ভাবে একজন বন্দিকে নিপীড়ন-নির্যাতন করে সেটি নিয়ে আবার ঠাট্টা তামাশা যারা করে তারা মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ। তিনি দুঃসহ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখে নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। তিনি আজ ২৯ জুলাই সোমবার বাদে আছর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বেগম বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।

দোয়া মাহফিলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রেখেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জঠিল রোগে ভুগছেন। বর্তমানে তার স্বাস্থ্যের আশংকাজনক অবনতি হয়েছে। তার এখন উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার তা অগ্রাহ্য করছে। সরকার সম্পূর্ণরূপে জুলুম করে দেশনেত্রীর জামিন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে তার মুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছে।

দোয়া মাহফিলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলেছেন। ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে থাকার জন্য জালিয়াতির নির্বাচন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রেখেছেন। শেখ হাসিনার একটাই লক্ষ্য কিভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেওয়া যায়। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের অপশাসন জনগণ সকল শক্তি দিয়ে রুখে দিবে।

দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য ও রোগ মুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতীব মাওলানা এহসানুল হক।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ¦ এম এ আজিজ, সামশুল আলম, নাজিমুর রহমান, আশরাফ চৌধুরী, শফিকুর রহমান স্বপন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, মো. ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর. ইউ. চৌধুরী শাহিন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম (ডক), সম্পাদকবৃন্দ শিহাব উদ্দিন মুবিন, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এইচ এম রাশেদ খান, এম আই চৌধুরী মামুন, হেলাল চৌধুরী, মো. আলী, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপি সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, কাউন্সিলর মো. আজম, মো. হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, সহ-সম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, মো: ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান, আজাদ বাঙালী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুছা, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আলী আজম, সালাউদ্দিন লাতু, থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন, মনির আহমদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, শাহেদা বেগম, মো. মহসিন, এমদাদুল হক বাদশা, কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, কাজী সামশুল আলম, মো. বেলাল, ফারুক আহমেদ, জমির আহমদ, ইলিয়াছ চৌধুরী, ফয়েজ আহমেদ, মো. আজম, রাসেল পারভেজ সুজন, এস এম ফরিদুল আলম, রফিক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান, আশরাফ খান, সিরাজুল ইসলাম মুনসি, হাসান ওসমান চৌধুরী, ফিরোজ খান, আবু ফয়েজ, হাবিবুর রহমান চৌধুরীে, জাহেদ উল্লাহ রাশেদ, আলী হায়দার, এস এম আবুল কালাম আবু, ফরিদুল আলম চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তানভীর আহমেদ, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, এরশাদ হোসেন, শেখ রাসেল, এডভোকেট জায়েদ বিন রশিদ, মনিরুজ্জামান টিটু, আসাদুজ্জামান টিটু, সালাহ উদ্দিন, আলা উদ্দিন, রাসেল নিজাম, হাসান রুবেল প্রমুখ।

১ টি মন্তব্য
  1. Md Rasel Hasan বলেছেন

    দোয়া মাহফিলের নামে নাটক করছে বিএনপি।