অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা বিতর্ক তৈরী করেছে তারা ইতিহাস বিকৃত করতে চায়

0
.

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা এই বিতর্ক তৈরী করেছে তারা ইতিহাস বিকৃত করতে চায়। তবে মানুষ এখন প্রকৃত ইতিহাস জেনে গেছে। নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানানোর জন্য ছাত্রলীগকে পাঠচক্র আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক আলোচনায়  বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এখনো বিতর্ক কেন? বেসরকারি পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন,  স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা আর ঘোষণা দেয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন, সে ঘোষণা বহুজন পাঠ করেছেন। বেতারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ (২৬ মার্চ) করেন তৎকালীন অবিভক্ত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান। এরপর চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা সিদ্ধান্ত নেন সেনাবাহিনীর অফিসার দিয়ে পাঠ করানোর, তখন জিয়াউর রহমানকে দিয়ে পাঠ (২৭ মার্চ) করানো হয়।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৬ মার্চ নিজের জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী নুরুল হক শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। নূরুল হকের মতো আরো মানুষ সারাদেশে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ‍উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব পুরোপুরো বঙ্গবন্ধুর মতোই। পিতার সকল গুণই তিনি পেয়েছেন। কিছুক্ষেত্রে তিনি তার পিতাকেও ছাড়িয়েছেন। শেখ হাসিনা একজন কারিশমাটিক লিডার।

সাবেক দুই সেনাশাসক ও ‘অবৈধভাবে’ ক্ষমতাদখলকারী দুই রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও এইচএম এরশাদকে ‘মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ মন্তব্য করেন এইচ টি ইমাম বলেন, তারা পাকিস্তানের লোক ছিলেন। দেশের জন্য কিছুই করেননি। এরশাদ কিছু করলেও তা অন্য দিক দিয়ে। বঙ্গবন্ধুই দেশকে গড়ে তুলেছেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা তা ধরে রেখেছেন।

স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত রাজনৈতিক মঞ্চে আবির্ভাবে পেয়েছিলেন জিয়া ও এরশাদ বড় সুবিধা পেয়েছিলো বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, তারা দুজন সামরিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তার ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক দল খুলেছিলেন।পরে দুজনেরই ক্ষমতারোহনকে অবৈধ ঘোষণা করে আদালত।

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়- সিটি করপোরেশন রাস্তা তৈরি বা মেরামত করেছে কিন্তু এর কিছুদিন পর ওয়াসা তা কেটে ফেলে, উন্নয়নকাজে সমন্বয়হীনতা কেন শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের জবাবে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন,  ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থা উন্নয়নমূলক কাজ করে। সমস্যা হলো- তারা প্রকল্প নেওয়ার সময় বা বাস্তবায়নের সময় সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করেন না। আর উন্নয়ন কাজে তো আমরা বাধা দিতে পারি না। সমন্বয়হীনতা দূর করতে কাজ করছেন বলে তিনি জানান ।

আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান প্রমুখ।