অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ইউটিউবে খাওয়ার ভিডিও দিয়েই কোটিপতি এই নারী

0
.

ইউটিউবে খাওয়ার ভিডিও শেয়ার করার বিষয়টি সবারই জানা। অনেকে নিজস্ব চ্যানেল খুলে খাবার দাবারের ভিডিও শেয়ার করে থাকেন। নিজস্ব রেসিপি বানিয়ে কিংবা স্ট্রিট ফুড পরিচয় করিয়ে দিয়ে অনেকে হয়ে উঠেছেন ইউটিউব স্টার।

খাওয়ার ভিডিও শেয়ারিং করে তারা কামিয়ে নিচ্ছেন বিপুল অর্থও। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন মার্কিন ইউটিউব স্টার বেথানি গাসকিন। কুইন অব ইটিং শেলফিস হিসেবেই পরিচিত তিনি। শেলফিস বলতে খোলসওয়ালা মাছ যেমন চিংড়ি, লবস্টার ইত্যাদি খাওয়ার ভিডিও বানিয়েই তিনি সেলিব্রেটি।

বৃহস্পতিবার এক ভিডিও প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, ব্লোভ নামে অধিক পরিচিত ৪৪ বছর বয়সী গাসকিন। খাওয়ার ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব থেকে এক বছরেই কামাই করে নিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা।

তিনি বলেন, “এ বছর আমি আয় করেছি ১০ লাখ ডলারের কিছু বেশি অর্থ। তবে এটি শুধু ইউটিউব থেকেই। ব্রান্ডগুলো থেকেও প্রাপ্ত অর্থ এর সঙ্গে যুক্ত হয়নি।”

নিউইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, বিলাভস লাইফ এবং বিলাভস এসএমআর নামে দুই ইউটিউব চ্যানেল থেকে তিনি খাওয়ার ভিডিওগুলো প্রকাশ করে থাকেন। কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি, লবস্টার ইত্যাদি খেতে খেতে তিনি নিজের অনুভূতিও শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে।

বিপুল পরিমাণ খাবার সামনে রেখে এবং খেতে খেতে তার নানা গল্প এবং অনুভূতি শুনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন খাদ্যরসিকরা।

খোলসওয়ালা মাছই শুধু খান না তিনি, কখনো হাজির হন নুডলসের বিশাল ডিশ সামনে নিয়ে। নানা ধরনের সি ফিশ সহ রোস্টেড আলু পর্যন্ত কিছুই বাদ যায় না।

সি ফুডের একটি বিশাল একটি ডিশ খাওয়ার ভিডিওটি দেখেছে এক কোটি ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ। এটি গাসকিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও। তার অন্যান্য ভিডিওগুলো এভাবে দেখে থাকে লাখ লাখ মানুষ।

২০১৭ সাল থেকে খাওয়ার ভিডিও বানানো শুরু করেন গাসকিন। ঘরে নিজেই রেসিপি বানিয়ে সেসব খাওয়ার ভিডিও বানাতেন তিনি।

এই সেলিব্রিটি নারী বলেন, “আমি খেতে ভালোবাসি আর রাঁধতে খুবই পছন্দ করি।”

গাসকিন জানান, শুরুতে শুধু রান্নার ভিডিও দিতেন তিনি। কিন্তু খাওয়ার ভিডিও’ও চাইতে শুরু করে ভক্তরা। সেই থেকে নিজের ভিডিও বানানো শুরু এবং সেলিব্রেটি হয়ে ওঠা।

রাতদিন পরিশ্রম করেই তিনি এই জায়গায় ওঠে এসেছেন। তার স্বামী শুরুতে মনে করতেন, শখের বশেই এসব করছে তার স্ত্রী। এক পর্যায়ে এ থেকে যখন বিপুল টাকা আসতে লাগল, তিনি চমকে যান। এমনকি খাওয়ার ভিডিও বানিয়ে প্রাপ্ত অর্থ থেকে পুরো পরিবারের চেহারাই পালটে দেন তিনি। ইউটিউবে তার দুইটা চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার এখন ২৩ লাখেরও বেশি। ইনস্টাগ্রামেও তাকে অনুসরণ করছে ১০ লাখ মানুষ।