অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

‍‍‌‍‍‌‌‌‌‍‍‍‍“সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ভবিষ্যৎ দেশের সম্ভাবনাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে”

0
.

উন্নয়ন ও সেবা খাতে সরকারের বিশাল কর্মউদ্যোগের টেকসই ও দুর্নীতিমুক্ত বাস্তবায়নে নাগরিক পর্যবেক্ষণ চোখ অধিকতর জোরদার করার তাগাদা দিয়ে সাংবাদিকদের বৃহত্তর সংগঠন বিএফইউজে সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেছেন,গণপরিবহনের জন্য মেট্রোরেল, ওয়াটার বাস সার্ভিস চালুসহ যানজট নিরসনে বন্দরের নিত্যকার ট্রাক লরির জন্য পৃথক টার্মিনাল-ডিপো নির্মাণ, ওয়াসার জন্য শতবর্ষী প্রকল্প গ্রহণ, চসিক-চউকসহ সেবধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়, কর্ণফুলীর নিয়মিত ড্রেজিং, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল ফার্স্ট ট্রেক প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন, বন্দরের প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ এবং পর্যটন, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বিনোদনের যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।  সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে।

তিনি মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফোরাম ও চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান প্রবাসী উন্নয়ন সংগঠক ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এবং চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক পেশাজীবী নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর এ সভা থেকে উন্নয়ন ও সেবা খাতে সরকারের বিশাল কর্মউদ্যোগের টেকসই ও দুর্নীতিমুক্ত বাস্তবায়নে নাগরিক পর্যবেক্ষণ চোখ অধিকতর জোরদার করার তাগিদ দেন।

মনোয়ার হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের সমস্যাকে ‘আঞ্চলিক সমস্যা’ হিসেবে দেখা উচিত নয়। চট্টগ্রামের মাধ্যমেই দেশের মোট রফতানির ৮০ এবং আমদানির প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়। ফলে চট্টগ্রামের সংকট সমাধানে জাতীর সম্ভাবনার পথই প্রসারিত হয়। চট্টগ্রামের উন্নয়নের মানেই জাতীয় উন্নয়ন।

তিনি উন্নয়নে সাম্যতা প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রাম থেকে আকাশপথে বৈশ্বিক যোগাযোগের পথ আরও উন্মুক্ত করা, কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের শিল্প সম্ভাবনা অর্জন, কয়েকটি ব্যাংকের সদর দফতর চট্টগ্রামে স্থাপন, বছরে অন্তত একটি কেবিনেট মিটিং চট্টগ্রামে আয়োজনসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বন্দর শহরে জনপ্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা হওয়া জরুরি। উত্তর-দক্ষিণ চট্টগ্রামে মিরসরাই ও আনোয়ারায় স্পেশাল ইকনোমিক জোনে দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীরা শিল্প স্থাপনে সক্ষম হলে প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। উন্নয়নে শুধু প্রবৃদ্ধিই নয়, পরিবর্তনও সাধন হয়। দেশে পরিবর্তনের যে ছোঁয়া লেগেছে তা স্থায়ী করতে অপরিণামদর্শী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। উন্নয়নে জনস্বার্থের বিবেচনায় প্রকল্পের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন,নগরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও উদারনৈতিক দৃষ্টির সুযোগে কেউ যদি উন্নয়নকে ভবিষ্যৎ দুর্যোগের কারণ হিসেবে তৈরি করেন, তবে চট্টগ্রামবাসী তারজন্য ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ তৈরি করবে।

চট্টগ্রামের শিপব্রেকিং, শিপবিল্ডিং,আরএমজি, শিল্প বাণিজ্য, বন্দর,পর্যটন এবং কৃষি, মৎস্যসহ সমুদ্র সম্পদ খাতের বিপুল সম্ভাবনার সর্বোচ্চ অর্জনে চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সামুদ্রিক অর্থনীতির সুফল ঘরে তোলার তাগাদাও দেওয়া হয় সভায় ।