অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে চলন্তবাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, চালক হেলপার গ্রেফতার

2
বাম থেকে বাসের হেলপার হৃদয়।  ডানে চালক রবিউল আউয়াল।  (চেকশার্ট)

চট্টগ্রামে মহানগরীতে চলন্তবাসে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টাকোলে শহর এলাকার ১ নম্বর বাসের চালক ও হেলপারকে জনগণের সহযোগীতায় গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

শনিবার (১০ আগষ্ট) মধ্যরাতে বাসটি ধাওয়া করে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় দুজনকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

গ্রেফতার দুজন হল- বাসের চালক হৃদয় (২৩) ও হেলপার রবিউল আউয়াল (২২)।

কোতেয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহসীন পাঠক ডট নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাসে শ্লীলতাহানির শিকার রুমানা (১৬) (ছন্দ নাম) বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছে।

মামলায় বাদীনী উল্লেখ করেন, তার বাড়ী আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া গ্রামে। শশুর বাড়ী কক্সবাজারে উখিয়ায়।

বর্তমান ঠিকানা নগরীর বাকলিয়া থানার কালা মিয়ার বাজার এলাকায়।

গতকাল রাত ১১টার দিকে বাবার বাড়ী থেকে শহরে আসার জন্য নতুন ব্রীজ এলাকায় বাস থেকে নামার পর মনে পড়ে বাসার চাবি তিনি বাবার বাড়িতে ফেলে এসেছে।

তাই চাবি না থাকায় নিজ বাসায় কালা মিয়া বাজারে না গিয়ে তিনি নগরীর দেওয়ানহাট, মিস্ত্রিপাড়ায় চাচাতো বোনের বাসায় গিয়ে রাত যাপনের জন্য নতুন ব্রীজ থেকে বহদ্দার হাটে যান। সেখান থেকে দেওয়ান হাটে যাওয়ার জন্য সিটি সার্ভিস ১নং রুটের মিনিবাসে উঠে (গাড়ী নং-ঢাকামেট্রো-চ-০৬-০০৪৭) রওনা দেন।

বাদীনী রুমানা জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটি জিইসির মোড় পৌছলে সব যাত্রী নেমে যায়। তখন বাসটি আর সামনে যাবে কিনা জানতে চাইলে তখন চালক আর হেলপার জানতে চায় আমি কোথাই যাবো। দেওয়ানহাট যাবো বলার পর তারা দুজন বলে চলত উনাকে নামাইয়া দিয়া আসি”।

তাহাদের কথাবার্তায় আমাকে আশ্বস্ত করলে আমি উক্ত বাসে করে লালখান বাজার মোড়ে আসলে বাসটি লালখান বাজার মোড় হইতে টাইগারপাসের দিকে না গিয়ে

বামে মোড় নিয়া কাজীর দেউরীর দিকে রওনা দেয়। এসময় আমি তাদেরকে আমাকে কোথায় নিয়া যাচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোন উত্তর না দিয়ে আমাকে ধমক দিয়ে বলে যে, চুপচাপ বসে থাক।

আমি মিনিবাসটির হেলপারকে বলতে থাকি আমাকে নামিয়ে দিতে কিন্তু তারা বাস না থামিয়ে কাজীর দেউরী দিকে চলিতে থাকে। আমি মিনিবাসের ড্রাইভারের ঠিক পিছনের সিটে বসা ছিলাম। মিনিবাসটি চলন্ত অবস্থায় রাত অনুমান রাত দেড়টার দিকে চিটাগাং ক্লাবের সামনে এসে পৌছলে

হেলপার আমার পাশে এসে বসে একহাতে ;দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে। অপর হাতে আমার গায়ের ওড়না টান দিলে আমি সিটে উপর পড়ে যাই।

এসময় হেলপার আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকে। আমি চিৎকার করতে থাকলে সে পুনরায় চলন্ত অবস্থায় আমার গলায় থাকা ওড়না দ্বারা আমার গলা চেপে ধরে ও ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এদিকে প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাসের ভেতরে চলন্তবস্থায় হেলপার এই তরুণীর গায়ের উপর উঠে তাকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে তার চিৎকারে এসময় বাসের পিছনে আসা অপর একটি গরু বোঝাই করা যাত্রী সহ ট্রাক বিষয়টি লক্ষ্য করে বাসটিকে ধাওয়া করে। সুযোগ বুঝে মেয়েটি বাস থেকে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করলে চালক হেলপারকে চিৎকার করে বলে “মায়াটারে ধর শালা” এত হেলপার আমাকে ধরে রাখে। বাসটি পিছনের ট্রাকের ধাওয়া খেয়ে কাজীর দেউড়ি মোড়ে পৌছলে ট্রাকটি স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় বাসটি থামাতে সক্ষম হয়।

কোতোয়ালী থানার ওসি মহসীন জানান, ঘটনার সময় সাদা পোষাকে অন ডিউটিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালী থানার এএসআই শহীদুল ইসলাম মোল্লা। তিনি মেয়েটিকে উদ্ধার এবং চালক ও হেলপারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছে। বাসটি আমরা জব্দ করেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২ মন্তব্য
  1. Omur Faruk বলেছেন

    Sobar samne fasi den.

  2. Khandakar Mansur বলেছেন

    Cross fire