অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফেনীতে পিকনিকের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৮

0
.

ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী পিকনিকের বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আটে দাঁড়াল। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর লেমুয়ায় ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ঢাকার মিরপুরের ইকবাল (৩৮) ও শামীম (৩০), বিক্রমপুরের অপু (৩৫) ও সুজন মিয়া (২৮), নারায়ণগঞ্জের মুন্না খান (৩০), মাদারীপুরের রিপন (৩০) এবং ফেনীর শাহাদাত হোসেন (২৮)।

ঘটনাস্থলেই ছয় জন মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন মহিপাল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাওসার। পরে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো দুজন মারা যান। এদের মধ্যে একটি শিশুও আছে।

ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাহজাহান খান জানান, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এসআই কাওসার বলেন, পিকনিকের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিল কুমিল্লা-ঢাকা (ঢাকা-মেট্রো-১৪-৭৫৭৮) প্রাইম পরিবহনের বাসটি। ফেনীর লেমুয়ায় পৌঁছলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।

হতাহতদের মধ্যে সবাই ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার বলে জানান তিনি।

আহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন- আক্তার হোসেন (২২), অপু (২৫), ইকবাল হোসেন (৩৮), রহিম (১৩), আসলাম (৪০), ফয়সল (২৩), মুন্না (৫০), আয়শা আক্তার (১৭), নাজমা আক্তার (১৮), দুলাল (২৭), রিপন (৪০), রিপন মিয়া (৩০) ও দুলাল (৮)।

তারা সবাই ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহত ও নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৯ সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার ও বান্দরবান ভ্রমণে যাচ্ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে সুজন (৪০) নামে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার বাড়ি ঢাকা বিক্রমপুরে।

ঘটনার বিবৃতি দিয়ে আহত রুমা আক্তার নামে এক বাসযাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে রাত ২টায় রওনা দিই আমরা। এর মধ্যে হাইওয়েতে একটি রেস্তোরাঁয় সবাই নাস্তা করে আবার বাসে উঠে পড়ি। একপর্যায় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। আমাদের ঘুমের মধ্যেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফেনী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. আবু তাহের বলেন, আহত ২০ জনকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।