অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“যারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে পারে না তাদের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতাও থাকে না”

0
.

জাতীয় শোক দিবসে চট্টগ্রামে নাগরিক শোকযাত্রা উদ্বোধন করতে গিয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন না তাদের এদেশের নাগরিক হিসেবে থাকার যোগ্যতাও নেই। “

মেয়র আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাথে অন্য কারো তুলনা চলে না। নাগরিক শোকযাত্রা পূর্বেকার এক সমাবেশে মেয়র একথা বলেন।

চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগ গেল তিনবছর ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিত্বশীল নাগরিকদের নিয়ে এই নাগরিক শোকযাত্রা করে আসছে।এই প্রথম এতে নেতৃত্ব দেন চসিক মেয়র । চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে নন্দনকাননের ডিসি হিল লাগোয়া এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের সামনে থেকে বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় শোকযাত্রাটি শুরু হয়।

চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় এই নাগরিক শোকযাত্রা ও এর পূর্বকার সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডাঃ একিউএম সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলা, শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী,বাবু, চট্টগ্রামের মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহীন ফৈরদৌসী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএমএ সদস্য ডাঃ হোসেন আহমেদ, ইয়াং ইন্জিনিয়ারস ফোরাম সভাপতি ও চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, এস,এম, এরশাদ উল্লাহ, সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সফর আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ ঈসা, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জামশেদুল আলম চৌধুরী, ফারুক আহমেদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, সাংবাদিক আব্দুর রউফ পাটোয়ারী, ন্যাপ নেতা মিতুল দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেবনাথ, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা পূলক খাষ্তগীর , চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের সমন্বয়কারি সাংস্কৃতিক সংগঠক মোহাম্মদ খোরশেদ , যুবনেতা ওয়াহিদুল আলম শিমুল, আবদুর রশিদ লোকমান, কবি সজল দাশ, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হাসনাত চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য বোখারী আজম প্রমুখ।

সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতা ও সংগঠকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগনেতা সাবেক ছাত্রনেতা শহীদুল কাওসার, মিনহাজুল আবেদীন সায়েম, আব্দূল্লাহ আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত, মিথুন মল্লিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক, যুগ্ম সম্পাদক আবু তোরব পরশ, সাবরিনা চৌধুরী, আরিফ মঈনুদ্দিন, এডভোকেট টিপু শীল জয়দেব, রায়হান মাহমুদ, ইমরান আলী মাসুদ, এম আই হোসেন সাহিদ , কাজী মো. আমান উদ্দিন, তরুণ সংগঠক জনী বড়ুয়া, চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্র লীগের সন্জয়িতা দত্ত পিংকি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নওরিন আক্তার প্রমুখ।

নাগরিক শোকযাত্রা পূর্বকার সমাবেশে মেয়র বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান নিছক ভৌগলিক স্বাধীনতা চাননি, বাংলার দুঃখি মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীপূর্ণ সেই মুক্তির আগেই ঘাতকরা স্বপরিবারে তাঁকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর সেই অসামাপ্ত কাজই সেদিন বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে থাকা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে সবাইকে দেশগঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহযোগিতার অনুরোধ করেন চসিক মেয়র।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু তৃণমূল থেকে ওঠে এসে জেলজুলুমের শিকার হয়ে বাঙালিকে শুধু একটি রাষ্ট্রই দেননি বাঙালি জাতির জন্য নিজের জীবনটাও সাহসের সাথে উৎসর্গ করেছেন। ঘাতকের বুলেট বেয়নেটের মুখে দাঁড়িয়েও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে উচ্চকন্ঠ ছিলেন এই জাতীয়তাবাদী নেতা। উপমহাদেশ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির ধারা বিশ্লেষণ করলেও দেখা যায় জাতীয়তাবাদী নেতারা বিশ্ববৈনিয়া ভ্রাতৃঘাতি,বেঈমানদের টার্গেটে পরিণত হন। বঙ্গবন্ধুকেও যারা টার্গেট করেছিলেন, তাদের এদেশীয় দোসররাই এদেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার মর্যাদা লুটেছৈ।