চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, দেশেনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে সরকার। কোরবানীর ঈদের আগে দেশবাসী আশা করেছিল বেগম খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাবেন। কিন্তু সরকারের হস্তক্ষেপে আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়াকে বারবার বাঁধাগ্রস্ত করছে তারা। সরকার বিচারব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। তাই বেগম খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আজ ১৮ আগষ্ট রবিবার বিকালে নগরীর মৌলভীবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এতে তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অথচ সরকার এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গুর ওষুধ আনতে পারেনি। তার ফলে যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন তারা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আমরা সম্পূর্ণ বিনা খরচে চিকিৎসা দেয়ার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ জানে আলম জিকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু। দিদারুল আলম হিরামনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আলম লিটন, নগর যুবদলের সহসভাপতি ম. হামিদ, সহসাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন মানিক, আরিফুল ইসলাম, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইব্রাহিম, চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহবায়ক গোলজার হোসেন, যুবদল নেতা আকতার হোসেন, মনসুর আরম, মো. এসকান্দর, মো. নবী সওদাগর, আরিফুর রহমান, মোর্শেদ কামাল, মো. ইলিয়াছ, মনসুর আলম, রবিউল হোসেন, সরওয়ার আলম প্রমুখ।
আবু সুফিয়া সাহেব আপনাদের কথা হলো আপনারা যত ধরনের অন্যায় করবেন আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবে না নিলে আপনারা বলবেন সরকার বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করছেন । বিএনপির নেতাদের আসল কথা হলো তাদের জন্যে দেশে কোনো আইন ব্যবস্থা না থাকলেই ভালো । তাহলে তারা ইচ্ছে মত দুর্নীতি করতে পারবে ।
আপনারা কি চান যে সরকার আপনারা যতই অপরাধ করবে কিছুই করবে না । বর্তমান সরকারক নিয় ফালতু কথা বলা ছারা আপনাদের কি আর কোনো কাজ থাকে না । বর্তমান সরকার কখনো অন্যাকে সহ্য করে নি আর অন্যা যারা করেছে তাদের ও ছাড় দেয় নি। এইসব ফালতু কথা বলা বন্ধ করুন ।
সরকার যদি বিচার ব্যবস্থাকে সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রণ করে রাখতো তাহলে দেশে যত ধর্ষণ ও খুন হচ্ছে তাদের বিচার কখোনই হতো না। এছাড়াও আপনারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ কে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করা বিশ্বখ্যাত দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়া দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পেত। তাকে কোনদিনও গ্রেপ্তার করা যেত না।
সুফিয়ান সাহেব দলের পদ পেয়ে এখন আপনার প্রধান দায়িত্ব হয়ে গিয়েছে সরকারের নামে কিভাবে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে এই পদ টিকিয়ে রাখা। কারণ বিচার ব্যবস্থা যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকতো তাহলে আপনারা যে হারে রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড করে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ছোট করে তুলছেন, তাতে আপনারা কখনো জেলের বাইরে থাকতে পারতেন না।
আপনাদের এই ধরনের অভিযোগ গুলো নিত্য দিনের।যখন বিএনপি কোন নেতা মুক্তি লাভ করেন তখন বলেন আদালতে জামিন পেয়েছেন।আর যখন আদালত জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান, তখন বিচার ব্যবস্থা হয়ে যায় সরকারের তাইনা?
জনাব আবু সুফিয়ান, আর কত সরকারের সমালোচনা করে দিন পার করবেন।এইবার অন্তত জনগণের জন্য কিছু করুন।আপনারা সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্য করবেন।আপনার দলের নেতা কর্মীরা গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ মারবেন।দেশকে ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে ফেলে দিবেন।আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীয় এবং আদালত আপনাদের সাজার ব্যবস্থা করলে তা হয়ে যায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ
সরকার আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে যদি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে সরকার দলীয় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের কে বা কারা আইনের আওতায় আনছে? মূলকথা হলো বিএনপির নেতাকর্মীরা চায় দেশের শাসন ক্ষমতা যেভাবেই হোক তারা চিনিয়ে নিবে।এবং তাদের ইচ্ছামত দেশ পরিচালনা করবেন।
বিগত ১০ বছর ধরে সাধারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সরকার শাসন ব্যবস্থাই রয়েছে। কিন্তু বিএনপি দশটি বছর কাটিয়েছি শুধুমাত্র সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে এবং জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে করার বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে। আবু সুফিয়ান সাহেব যতই আপনি সরকারের উপর মিথ্যা দোষারোপ চাপানোর চেষ্টা করুন না কেন জনগণ কখনোই আপনাদের এই মিথ্যা আরো বিশ্বাস করবে না.কেননা বর্তমানে যে বিচার ব্যবস্থার রয়েছে এতে কে সরকার দলের লোক আর কে সরকার দলের না তা বিবেচনা করে না।